মালদা, 17 নভেম্বর : মালদা কলেজের পর এবার মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল দত্তক নিল একটি গ্রাম (Malda Medical College and hospital Adopt a Village) ৷ বৃহস্পতিবার পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পূর্ণ আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড় পুকুরিয়া গ্রামকে দত্তক নিয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ৷ এখন থেকে মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা এই গ্রামের প্রায় 125টি পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন তাঁদের বাড়ি এসে ৷ তাঁদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়গুলিও দেখভাল করবেন পড়ুয়ারা ৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য যোজনার নিয়ম মেনে আজ ঝাড়পুকুরিয়া গ্রামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দত্তক নিয়েছে মালদা মেডিক্যাল ৷ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়, সহকারী অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দীপ মজুমদার-সহ আরও অনেকে ৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এএনএম এবং আশাকর্মীরাও ৷
আরও পড়ুন : ডেঙ্গি আতঙ্কের মধ্যেই মালদা মেডিক্যাল হয়ে উঠেছে মশার প্রসবঘর !
সহকারী অধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপার পুরঞ্জয় সাহা বলেন, “কমিউনিটি মেডিসিনের অঙ্গ হিসাবে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের গ্রামীণ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে ঝাড়পুকুরিয়া ও সংলগ্ন আরও একটি গ্রামকে আমরা বেছে নিয়েছি ৷ প্রথম বর্ষের 125 জন পড়ুয়াকে এক একটি পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে ৷ আজই তাদের প্রত্যেককে একটি করে পরিবারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ এমবিবিএস পাঠ্যক্রমের সাড়ে চার বছর পড়ুয়ারা তাঁদের হাতে থাকা পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য-সহ নানা বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন ৷ গ্রামবাসীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রামেই দেওয়া হবে ৷ প্রয়োজনে তাঁদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ সাড়ে চার বছর এই কাজ করার পর একজন পড়ুয়া গ্রামীণ স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাবে ৷”
আদিবাসী গ্রাম দত্তক নিল মালদা মেডিক্যাল আরও পড়ুন: ঠান্ডা পড়লে ডেঙ্গি কমে যাবে, এখন সাবধানে থাকুন; নদিয়ায় সতর্কবার্তা মমতার
এছড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, “আজ আমরা প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের এই গ্রামের একটি করে পরিবারের স্বাস্থ্যের দায়িত্ব দিলাম ৷ এটা আমাদের শিক্ষাক্রমের একটি অঙ্গ ৷ পড়ুয়ারা নিয়মিত গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে ৷ পড়ুয়ারা এখানে মেডিক্যাল ক্যাম্পও করবে ৷ সারা বছর তাদের এই পরিবার গুলির উপর নজর রাখতে হবে ৷”