মালদা, 1 সেপ্টেম্বর: খোদ মন্ত্রীর এলাকায় বিশেষভাবে সক্ষম 22 বছরের এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৷ রাতের অন্ধকারে একটি প্রাথমিক স্কুলে নিয়ে গিয়ে ওই যুবতীকে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পরিবারের ৷ এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার মোথাবাড়ি থানা এলাকায় ৷ শুক্রবার নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ৷ অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারির জন্য তিনি পুলিশকেও নির্দেশ দিয়েছেন ৷ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
ঘটনা বুধবার রাতের ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই রাতে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান বিশেষভাবে সক্ষম ওই যুবতী ৷ পরিবারের লোকজন গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনও সন্ধান পাননি বলেই দাবি ৷ শেষ পর্যন্ত সকালে ওই যুবতীর সন্ধান মেলে ৷ গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের ভিতর অজ্ঞান এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে ৷ খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন স্কুলে ছুটে আসেন ৷ যুবতীকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতাল, পরে সেখান থেকে মালদা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয় ৷ প্রাথমিক চিকিৎসার সময়ই মালদা মেডিক্যালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়ে দেন, তাঁর সঙ্গে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে ৷ এরপরই মোথাবাড়ি থানায় মেয়েকে গণধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মা ৷ তিনি বলেন, "মেয়ে আমাকে যেটুকু বলতে পেরেছে তাতে আমাদের অনুমান, কয়েকজন মিলে আমার মেয়ের সর্বনাশ ঘটিয়েছে ৷ আমি দোষীদের ফাঁসির সাজা দাবি করছি ৷"