মালদা , 19 মে : কোরোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে চতুর্থ দফার লকডাউন ৷ ফলে কর্মহীন হয়েছেম অনেকে ৷ রেশনের খাদ্য সামগ্রীই ভরসা তাঁদের ৷ এই পরিস্থিতিতে মালদা জেলায় রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন BJP সাংসদ । পালটা তাঁকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীও ৷
লকডাউনে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার ৷ এই পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ BJP-র পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে ৷ লুট হচ্ছে রেশন সামগ্রী ৷ এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা ।
জেলার রেশন ব্যবস্থা নিয়ে উত্তর মালদার BJP সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী সকলের কাছে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে । 2014 সালের পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার দরিদ্র মানুষের জন্য নানা প্রকল্প নিয়ে আসছে । রেশন সমস্ত মানুষের প্রাপ্য । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । যেদিন থেকে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে তখন থেকেই এই গণবন্টন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে । বর্তমানে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের লুটের জায়গা হয়েছে রেশন ব্যবস্থা । তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রেশন লুট করে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করছে । আমরা বারবার এর প্রতিবাদ জানিয়েছি । FCI থেকে রেশন সামগ্রী আসার সময় লুট হচ্ছে । গাড়িতে করে খাদ্যসামগ্রী অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । কেন্দ্রীয় সরকার যে গুণগত মানের খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ করছে রাজ্য সরকার সেই সামগ্রী পালটে দিচ্ছে । রাজ্য সরকার কাঁকড় মেশানো চাল , খাবার অযোগ্য সামগ্রী বিলি করছে । খাদ্যমন্ত্রীকে এনিয়ে একাধিকবার জানানো হয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকার পাঁচ কেজি করে চাল ও এক কেজি ডাল বিনামূল্যে দেওযার কথা ঘোষণা করেছে । এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিলির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে । জেলায় এখনও পর্যন্ত এপ্রিল মাসের ডাল বিলি করা হয়নি । অথচ এপ্রিল মাসের সমস্ত খাদ্যসামগ্রী এসেছে । BJP-র পক্ষ থেকে এনিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে অন্তত পক্ষে সব মানুষ রেশন পাচ্ছে । আমরা চাইছি রেশন সামগ্রীর বণ্টন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় । আমরা ডেপুটেশন দিয়ে রেশনের যাবতীয় তথ্য জানতে চেয়েছিলাম । কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের সেই তথ্য দেওয়া হয়নি । রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ৷ সেকারণেই এমন অব্যবস্থা চলছে ।”