মালদা, 6 অক্টোবর: দুর্যোগের পর কেটে গিয়েছে তিনটে দিন ৷ এখনও ছেলের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না শেফালিদেবী ৷ ঠাকুরঘরেই কাটিয়ে দিচ্ছেন দিনের বেশিরভাগ সময় ৷ মোবাইলে রিং হলেই ছুটে যাচ্ছেন ৷ কিন্তু না, এবারও ছেলে নয় ৷ ফের ফিরে আসছেন ঠাকুরঘরে ৷ এভাবেই এখন দিন কাটছে তাঁর ৷ রতুয়ার থানাপাড়ার সাহা পরিবারের এখন রাতে আর ঘুম নেই ৷
এই পরিবারের ছোট ছেলে, 24 বছরের সুশান্ত একটি নামী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ৷ গত সোমবার অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপে আরও তিন বন্ধুর সঙ্গে শিলিগুড়ি থেকে বাইকে সিকিমের গুরুদোংমার লেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ৷ সোমবার রাতে বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলেছেন ৷ মঙ্গলবার মায়ের মোবাইলে ছবিও পাঠিয়েছেন ৷ তারপর থেকে তাঁদের আর কোনও খোঁজ নেই ৷ চিন্তায় ঘুম উড়েছে বাড়ির সবার ৷ গতকাল রাতে রতুয়া থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা ৷ তারপরেই বিষয়টি সবার নজরে এসেছে ৷
চুলের সমস্যায় ভুগছিলেন সুশান্ত ৷ শিলিগুড়ির এক চিকিৎসককে দেখাতেন ৷ শনিবার সকালে ট্রেনে চেপে তিনি শিলিগুড়ি রওনা দেন ৷ রবিবার সেখান থেকে তাঁদের সিকিম যাওয়ার কথা ৷ বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল ৷ কিন্তু বৃষ্টির জন্য রবিবার তাঁরা শিলিগুড়িতেই থেকে যান ৷ সোমবার শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ৷ লাচেনের হোটেলে পৌঁছে রাতে তিনি বাড়িতে ফোন করেন ৷ মঙ্গলবারও মায়ের ফোনে ছবি পাঠান ৷ বুধবার সকালে সংবাদমাধ্যমে বাড়ির সবাই সিকিমের দুর্যোগের কথা জানতে পারেন ৷ তারপর থেকে সবাই পাগলের মতো তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সফল হননি ৷ তাঁর দুটি মোবাইল ফোনেরই সুইচ অফ ৷