মালদা, 18 জুন : মালদা শহরের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হাইড্রেনগুলির উপর গজিয়ে ওঠা অবৈধ দোকান ভাঙতে শুরু করেছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক সুরেশচন্দ্র রানো ৷ তাঁর নির্দেশে বৃহস্পতিবার মালঞ্চপল্লি বাজারে হাইড্রেনের উপর নির্মিত সমস্ত দোকানপাট ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ পৌর প্রশাসকের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শহরবাসী ৷ বর্ষার মরশুমে জলবন্দী দশা থেকে বাঁচতে এছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা ৷
একদিকে জমি হাঙরদের পাল্লায় দখল হয়ে গিয়েছে মালদা শহরের নিকাশি নালার সমস্ত পথ, অন্যদিকে শহরজুড়ে হাইড্রেনের উপর গজিয়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট ৷ এই দুইয়ের জেরে হাঁসফাঁস করছে মালদা শহর ৷ সামান্য বৃষ্টি হলেই জল জমছে গোটা শহরে ৷ আগে শহরের জল বেরিয়ে যেত শহর সংলগ্ন ভাতিয়া ও চাতরা বিল দিয়ে ৷ এখন দুই বিলেই তৈরি হয়েছে বহুতল ৷ তৎকালীন বাম থেকে শুরু করে বর্তমান তৃণমূলের নেতাদের মদতেই জলা বুজিয়ে বহুতল নির্মাণ করা হয়েছে বলেই অভিযোগ বেশিরভাগ শহরবাসীর ৷ পরিস্থিতিটা ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ ৷ একদিনের ভারী বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি তো বটেই, রেহাই পায়নি মালদা মেডিক্যাল, প্রশাসনিক ভবন, জেলা আদালত, ইংরেজবাজার থানা, এমনকি জেলাশাসকের বাংলোও ৷
এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পথে নামেন মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র ও মালদা সদরের মহকুমাশাসক শেখরকুমার চৌধুরী ৷ মালদা শহর থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত নিকাশি নালার যেসব অংশে বেআইনি দখল হয়েছিল, তা বাধামুক্ত করা হয় ৷ শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যানও তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান জেলাশাসক ৷