পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

পরপর তিন কন্যাসন্তান, যুবতিকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর

কালিয়াচক থানার বাহাদুরপুর গ্রামে এক যুবতির পরপর তিন কন্যাসন্তান হওয়ায় তাঁর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

আক্রান্ত যুবতি

By

Published : Feb 8, 2019, 4:43 PM IST

মালদা, ৮ ফেব্রুয়ারি : পরপর তিনটি কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় যুবতিকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি হবিবপুর থানার ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলাসন গ্রামের। যুবতি মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

অগ্নিদগ্ধ যুবতির নাম মনিকা ভুঁইমালি (৩৫)। বাড়ি কালিয়াচক থানার বাহাদুরপুর গ্রামে। ১২ বছর আগে হবিবপুরের তিলাসন গ্রামের বাসিন্দা টগর ভুঁইমালির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। টগর পেশায় ট্যাক্সিচালক। পরপর তিনটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন মনিকা। অভিযোগ, পুত্রসন্তান না হওয়ার কারণেই তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্থানীয়রা এসে তাঁকে উদ্ধার করে বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করেন। পরে তাঁকে মালদা মেডিকেলে রেফার করা হয়।

মনিকার দাদা শ্রীরাম সাহা বলেন, "১২ বছর আগে বোনের বিয়ে দিয়েছি। পরপর তিনটে মেয়ে হয় তাদের। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছিল। বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও স্বামী তাঁর উপর অত্যাচার চালাত। টাকাপয়সা দিয়ে তাদের শান্ত করারও চেষ্টা করেছি আমরা। বাড়ির ভাগও দিয়েছি। তাও বুধবার সকালে তারা বোনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। নীলিমার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে।"

পুলিশ জানিয়েছে, গতরাতে মনিকার স্বামী টগর ভুঁইমালি, শ্বশুর বাদল ভুঁইমালি, শাশুড়ি সুলেখা ভুঁইমালি এবং ননদ বিশাখা ভুঁইমালির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গতরাতেই ওই তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যায় পুলিশের একটি দল। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details