মালদা, 26 নভেম্বর: মালদা জেলার মধুচাষিদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল লখনউয়ের সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট ফর সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচার (সিআইএসএইচ) ৷ এই সংস্থার সাহায্যে মালদা শাখায় তৈরি করা হল অত্যাধুনিক গবেষণাগার ৷ শনিবার সংস্থার মালদা শাখায় এই ল্যাবরেটরি ভবনের সূচনা করেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের (আইসিএআর) ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ হিমাংশু পাঠক ৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালদা শাখার ইনচার্জ-সহ দুই সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরা ৷ এদিন মধু ও আম-সহ বিভিন্ন ফলের চাষিদের নিয়ে একটি সম্মেলনও করা হয় ৷
সিআইএসএইচ-এর সিনিয়র বিজ্ঞানী তথা মালদা শাখার ইনচার্জ ড. দীপক নায়েক বলেন, "শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলে সিআইএসএইচ-এর এমন বহুমুখী রিজিওনাল স্টেশন একমাত্র মালদা জেলায় রয়েছে ৷ আজ এখানে নতুন ফেসিলিটি ক্যাম্পাসের উদ্বোধন হল ৷ এতে আমরাও আরও বেশি রিসার্চের কাজ করতে পারব ৷ উন্নতমানের কৃষি, উন্নতমানের ফসল, তার গুণমান পরীক্ষা এবং বাজারজাত করা, এসব কাজ এখান থেকে করা হবে ৷ তার জন্য আমরা রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারও সাহায্য নেব ৷ এখান থেকে হাজার হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য ৷ আম ও মধুচাষিরা কীভাবে চাষ করবেন, কীভাবে ভালো ফসল পাবেন, ফসল কীভাবে বাজারজাত করবেন, সবকিছুই তাঁদের শেখানো হবে ৷"
সিআইএসএইচ-এর ডিরেক্টর ডঃ দামোদরন টি বলেন, "মালদা এই অঞ্চলের মধুর হাব হিসাবে পরিচিত ৷ এখানে প্রায় 800 জন মধুচাষি রয়েছেন ৷ তাঁদের উৎপাদিত মধু যাতে ভালো দামে বাইরে বিক্রি করা যায়, তার জন্য অথরাইজড ল্যাবরেটরির অনুমোদন লাগে ৷ এখানে সেই ল্যাবরেটরির উদ্বোধন হল ৷ মধুচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত মধু এখানে পরীক্ষা করিয়ে বিভিন্ন দেশে রফতানি করতে পারবেন ৷ মধুচাষিদের জন্য ব্লক চেন টেকনোলজির ব্যবস্থাও করা হয়েছে ৷ এতে তাঁরা মধুর ভালো দাম পাবেন ৷"
তিনি আরও বলেন, "মালদা আর মুর্শিদাবাদের আম বিশ্বখ্যাত ৷ কিন্তু আমচাষিদের বড় সমস্যা বিদেশের বাজার ধরা ৷ তাঁরা এখানে পাঁচ থেকে 10 টাকা কিলো দরে আম বিক্রি করেন ৷ আমরা চাই, তাঁদের আম অন্তত 50 টাকা কিলো দরে বিক্রি হোক ৷ আমরা সংস্থার তরফে তাঁদের মার্কেটিং চেন তৈরির চেষ্টা করছি ৷ আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখানকার 50 জন বড় আমচাষিকে আমরা দত্তক নেব ৷ অ্যাফেডাতে তাঁদের নাম রেজিস্ট্রেশন করানো হবে ৷ চাষের শুরু থেকে ফসলের প্যাকিং পর্যন্ত তাঁদের সহায়তা করে তাঁদের উৎপাদিত আম বিভিন্ন দেশে রফতানি করানো হবে ৷ এই কাজে আর্থিক-সহ সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন আইসিএআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল ৷