কলকাতা, 6 জুন: মালদায় ধর্মান্তকরণের মামলায় সিবিআইকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ হাইকোর্টের। প্রয়োজনে এনআইএ'র থেকে তথ্য নেওয়ার পরামর্শ সিবিআইকে। 6 সপ্তাহ পরে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ বিচারপতি রাজা শেখার মান্থার।
এদিকে এই ঘটনায় অনুসন্ধান রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ফের তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছে এনআইএ। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সময় নেওয়ায় সিবিআইয়ের ভূমিকায় বিরক্ত আদালত। তিন সপ্তাহ পরে এই মামলা শুনবে আদালত। কিন্তু একটা অনুসন্ধান রিপোর্ট দিতে কেন এত সময় দেরি, তা বোধগম্য হচ্ছে না আদালতের; মন্তব্য বিচারপতির।
এর আগে এই ঘটনায় সিবিআই, এনআইএ তদন্তের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে রাজ্য। কিন্তু প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ সেই আপিল খারিজ করে মামলাটি বিচারপতি রাজা শেখার মান্থার বেঞ্চেই ফেরত পাঠান নিষ্পত্তির জন্য।
উল্লেখ্য, মালদহে অপহরণের পর দুই ব্যক্তিকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ সামনে আসে। শুধু তাই নয়, তাঁদের দিয়ে বর্তমানে অস্ত্র, মাদক ও জাল নোট পাচারের মত কাজ করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় ৷ কালিয়াচক থানার দুই মহিলার অভিযোগ, 2021 সালের 26 নভেম্বর রাজমিস্ত্রীর কাজে গিয়ে তাঁদের স্বামীরা আর বাড়ি ফেরেননি। থানায় অভিযোগ জানিয়ে লাভ হয়নি। পরবর্তীতে তাঁরা স্বামীদের খোঁজ পান। কিন্তু দু’জনকেই জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা ৷ শুধু তাই নয়, অভিযোগ বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে গিয়ে তাঁদের দিয়ে জোর করে বেআইনি অস্ত্র, নকল টাকা চোরাচালানের কাজ করানো হচ্ছে।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলার শুনানির ঘটনায় সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। মামলার শুনানিতে অবশ্য ওই দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়েছেন। অভিযোগ শোনার পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদও জেলা প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: আতঙ্কের হরিশপুর ! পরিত্যক্ত খনির চাণক থেকে বেরচ্ছে বিষাক্ত ধোঁয়া
পিছিয়ে পড়া নিম্নবর্গের হিন্দুদের জোর করে মালদার ঐ অঞ্চলে মুসলিম ধর্মান্তরিত করার মত আইনবিরুদ্ধ কাজ আগেই হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু প্রশাসন নীরব দর্শক। একইসঙ্গে ভয় দেখিয়ে ঐ অঞ্চলে বেআইনি চোরা চালান ও বাংলাদেশে অস্ত্রোপচারের রমরমা ব্যবসা চলে বলে অভিযোগ। এই সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখতে বিচারপতি মান্থা আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।