মালদা, 16 নভেম্বর: একশো দিনের কাজ করেও টাকা মেলেনি ৷ পেরিয়ে গিয়েছে একটি বছর ৷ ঘরে অভাব নিত্যসঙ্গী ৷ পেটের তাগিদে গত বুধবারই মাটি কাটার কাজে হায়দরাবাদ (Hyderabad) গিয়েছিলেন পুরাতন মালদার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্দিলপুর গ্রামের বাসিন্দা, 45 বছরের মনোজ আহেড়ি ৷ আজ তাঁর কফিনবন্দি দেহ ফিরে এসেছে বাড়িতে ৷ তাঁর মৃত্যুতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা (Family alleges murder as Malda Labourer died) ৷ তাঁদের দাবি, মনোজকে খুন করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনায় জড়িত রয়েছেন তাঁর সঙ্গে কাজ করতে যাওয়া এলাকার মানুষজনের একাংশই ৷
নিতান্তই নিম্নবিত্ত পরিবার মনোজের ৷ নিজে শ্রমিক, স্ত্রী-ও সময় সুযোগ পেলে মজুরের কাজ করেন ৷ ঘরে রয়েছে তিন সন্তান ৷ এলাকায় কাজ নেই ৷ কখনও কাজ জুটলেও সেভাবে মজুরি মেলে না ৷ জব কার্ড রয়েছে তাঁদের ৷ এক বছরেরও বেশি সময় আগে সেই কার্ডে কাজ পেয়েছিলেন ৷ পঞ্চায়েতের 100 দিন প্রকল্পে কাজও করেছিলেন ৷ কিন্তু সেই মজুরির টাকা আজও পাননি ৷
অবশ্য শুধু তিনিই নন, মন্দিলপুরের কেউই 100 দিনের কাজ করে টাকা পাননি ৷ সম্প্রতি ভিনরাজ্যে শ্রমিক পাঠানোর এক ঠিকাদার তাঁর কাছে হায়দরাবাদে মাটি কাটার কাজের হদিশ দেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে সেই কাজে রাজি হয়ে যান মনোজ ৷ ওই ঠিকাদার তাঁকে 10 হাজার টাকা অগ্রিমও দিয়েছিলেন ৷ শেষ পর্যন্ত গত বুধবার এলাকারই প্রায় 40 জনের সঙ্গে হায়দরাবাদ পাড়ি দেন মনোজ ৷
গত শনিবারই মালদা থানার পুলিশ মনোজের বাড়িতে খবর দেয় ৷ হায়দরাবাদের রাস্তা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ ৷ দেহ সেখানকার হাসপাতালে রাখা রয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের পর দেহ বাড়িতে ফিরবে ৷ আজ মনোজের দেহ গ্রামে ফিরে আসে ৷