পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Migrant Worker Death: মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে এসে বিরোধীদের তোপের মুখে বিধায়ক

মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker Death) পরিবারকে সমবেদনা বিধায়কের ৷ কর্মসংস্থানের প্রশ্নে তাঁকে কটাক্ষ বামেদের ৷

Migrant Worker Death
পরিযায়ী শ্রমিক

By

Published : Mar 2, 2023, 8:40 PM IST

বিরোধীদের তোপের মুখে বিধায়ক

মালদা, 2 মার্চ: শুধু এলাকার বিধায়কই নন, তিনি আবার রাজ্যের শাসকদলের জেলা সভাপতি ৷ তাঁর এলাকায় কাজ না-পেয়ে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে হামেশাই মৃত্যু হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ৷ বুধবার রাতে আরও এক শ্রমিক কফিনবন্দি হয়ে গ্রামে ফিরে এসেছেন ৷ আজ তাঁর বাড়ি গিয়ে পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন বিধায়ক ৷ তাঁর এই ভূমিকা নিয়েই সরব হয়েছে বিরোধী যুব সংগঠন ৷ সংগঠনের কটাক্ষ, কাজ দেওয়ার মুরোদ নেই, অথচ মৃত্যুর পর শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়াটা বিধায়ক ভালোই রপ্ত করে ফেলেছেন (DYFI slams TMC MLA on Migrant Worker Death) ৷

মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম উজির আলি ৷ বয়স 35 বছর ৷ বাড়ি চাঁচল 2 নম্বর ব্লকের ধানগাড়া বিষ গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুয়াঘাট গ্রামে ৷ পরিবারে স্ত্রী নাজেমা খাতুন ছাড়াও রয়েছে ছোট ছোট পাঁচটি ছেলেমেয়ে ৷ বড় পরিবার ৷ অথচ এলাকার তেমন কাজ মিল ছিল না ৷ তাই মাসতিনেক আগে দিল্লিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে যান ৷ মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ তাঁর পেটে ব্যথা শুরু হয় ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ যদিও ওই রাতেই মারা যান তিনি ৷ গতকাল রাতে তাঁর দেহ গ্রামে ফিরে আসে ৷ রাতেই সমাধিস্থ করা হয় তাঁকে ৷

আজ কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না নাজেমা ৷ পাঁচ ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কেঁদেই চলেছিলেন ৷ তাঁদের এক পড়শি নুরুল হোদা জানালেন, উজির অনেকদিন ধরেই পরিযায়ী শ্রমিক ৷ এবার দিল্লিতে কাজে গিয়েছিলেন ৷ হঠাৎ তাঁর পেটে ব্যথা হয় ৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান ৷ তাঁরা খুব গরিব ৷ সরকার যেন তাঁর পরিবারকে কোনও একটা ব্যবস্থা করে দেয় ৷

নিজের এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ সপারিষদ উজিরের বাড়িতে যান মালতিপুরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বকসি ৷ তিনি বলেন, "খুব দুঃখজনক ঘটনা ৷ মৃত শ্রমিকের পাঁচটি ছেলেমেয়ে ৷ দিল্লিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গিয়েছেন ৷ আমরা দলীয় ও ব্যক্তিগতভাবে এই পরিবারটিকে সবরকম সাহায্য করার চেষ্টা করছি ৷ সরকারি বিভিন্ন সুবিধে পাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিবারটিকে সহায়তা করা হবে ৷"

যদিও বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের যুব সংগঠন, ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য সৌম্যশ্রী সাহা ৷ তিনি বলেন, "গত দু’বছরে মালতিপুর এলাকায় 15-20 জন পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্যে মারা গেলেন ৷ রাজ্যের সঙ্গে এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ না-থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছে ৷ কিন্তু এলাকার বিধায়ক কিংবা মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ৷ শুধু মৃতদের বাড়ি গিয়ে সমব্যথী প্রকল্পের কয়েকটা টাকা হাতে গুঁজে মুখ বন্ধ করে নিচ্ছেন ৷"

আরও পড়ুন:ওড়িশায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় নিহত উত্তর 24 পরগনার সাত শ্রমিক

ABOUT THE AUTHOR

...view details