মালদা, 2 মার্চ: শুধু এলাকার বিধায়কই নন, তিনি আবার রাজ্যের শাসকদলের জেলা সভাপতি ৷ তাঁর এলাকায় কাজ না-পেয়ে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে হামেশাই মৃত্যু হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ৷ বুধবার রাতে আরও এক শ্রমিক কফিনবন্দি হয়ে গ্রামে ফিরে এসেছেন ৷ আজ তাঁর বাড়ি গিয়ে পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন বিধায়ক ৷ তাঁর এই ভূমিকা নিয়েই সরব হয়েছে বিরোধী যুব সংগঠন ৷ সংগঠনের কটাক্ষ, কাজ দেওয়ার মুরোদ নেই, অথচ মৃত্যুর পর শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়াটা বিধায়ক ভালোই রপ্ত করে ফেলেছেন (DYFI slams TMC MLA on Migrant Worker Death) ৷
মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম উজির আলি ৷ বয়স 35 বছর ৷ বাড়ি চাঁচল 2 নম্বর ব্লকের ধানগাড়া বিষ গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুয়াঘাট গ্রামে ৷ পরিবারে স্ত্রী নাজেমা খাতুন ছাড়াও রয়েছে ছোট ছোট পাঁচটি ছেলেমেয়ে ৷ বড় পরিবার ৷ অথচ এলাকার তেমন কাজ মিল ছিল না ৷ তাই মাসতিনেক আগে দিল্লিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে যান ৷ মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ তাঁর পেটে ব্যথা শুরু হয় ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ যদিও ওই রাতেই মারা যান তিনি ৷ গতকাল রাতে তাঁর দেহ গ্রামে ফিরে আসে ৷ রাতেই সমাধিস্থ করা হয় তাঁকে ৷
আজ কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না নাজেমা ৷ পাঁচ ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কেঁদেই চলেছিলেন ৷ তাঁদের এক পড়শি নুরুল হোদা জানালেন, উজির অনেকদিন ধরেই পরিযায়ী শ্রমিক ৷ এবার দিল্লিতে কাজে গিয়েছিলেন ৷ হঠাৎ তাঁর পেটে ব্যথা হয় ৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান ৷ তাঁরা খুব গরিব ৷ সরকার যেন তাঁর পরিবারকে কোনও একটা ব্যবস্থা করে দেয় ৷