মালদা, 23 মার্চ: তৃণমূলের বিধায়কের অভিযোগ, কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবাস প্রকল্প-সহ অনেক কাজেই দুর্নীতি চালাচ্ছেন ৷ তাঁর কাছের আত্মীয়রা সরকারি কাজ করে দেওয়ার নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছেন (TMC-Congress War of Words)৷ বিরোধীরা তৃণমূলকে চোর বলে, কিন্তু তারা ডাকাতের চেয়েও উপরে ৷ যদিও বিধায়কের উদ্দেশে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ৷ তাঁর বক্তব্য, বিধায়ক তাঁর অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন ৷ কিন্তু তা করতে না পারলে বিধায়ককেও রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতে হবে ৷ তবে এ নিয়ে বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে দুই শিবিরের কথার যুদ্ধে জমজমাট চাঁচল (Malda News)৷
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই মুহূর্তে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে শাসক শিবির ৷ প্রতিদিনই দুর্নীতির নতুন সব তথ্য সামনে বেরিয়ে আসছে ৷ ঘাসফুল শিবিরের সেই অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে দলেরই কর্মী-সমর্থকদের একাংশ ৷ সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন ব্লকে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের দিকে ঢলতে দেখা গিয়েছে অনেককে ৷ পরিস্থিতির বদল ঘটাতে শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে চাঁচল 1 নং ব্লকের মকদুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌড়িয়া গ্রামে তৃণমূলের তরফে একটি যোগদান শিবিরের আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে বেশ কয়েকজন তৃণমূলের পতাকা হাতে নেন ৷ তাঁরা জানান, দলের দুর্নীতির বহর দেখেই তাঁরা দলবদল করেছেন ৷
বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বক্তব্য, মকদুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ’দুয়েক কংগ্রেস নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৷ এর মধ্যে ওই দলের কিছু পদাধিকারীও রয়েছেন ৷ অনেকে 50 বছর ধরে কংগ্রেস করছিলেন ৷ তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ অনুসরণ করার জন্যই দল ছেড়েছেন বলে দাবি করেন বিধায়ক ৷