মালদা, 3 জুন : চালু হতেই বিপত্তি৷ পদাতিক এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনেই মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার৷ নাম রিতা শেরপা (62)৷ বাড়ি দার্জিলিঙের সোনাদা এলাকায়৷ গতকাল মালদা স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে৷ যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামালে রেলপুলিশ ওই প্রৌঢ়ার শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করে৷ চিকিৎসক ওই প্রৌঢ়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ রেলপুলিশের পক্ষ থেকে প্রৌঢ়ার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে৷ মৃতদেহ থেকে লালারস সংগ্রহ করেছেন মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ৷ প্রৌঢ়ার মেয়ের লালারসও সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তবে তাঁর রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি৷
রিতা শেরপা ব্লাড সুগারের রোগী ছিলেন৷ লকডাউনের আগে মেয়ে পুনম শেরপা তাঁকে নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন৷ কলকাতায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন তাঁরা৷ এরই মধ্যে লকডাউন ঘোষিত হয়৷ আটকে পড়েন মা ও মেয়ে৷ অবশেষে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতেই প্রথমদিনেই তাঁরা NJP ফেরার টিকিট কাটেন৷ পদাতিক এক্সপ্রেসের S2 কোচে তাঁদের আসন সংরক্ষিত ছিল৷ সোমবার রাতে শিয়ালদা থেকে তাঁরা ট্রেনে ওঠেন৷ গতকাল সকালে মালদা স্টেশন ছাড়ার পরেই মেয়ে লক্ষ্য করেন, মা নিথর৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি সহযাত্রীদের সেকথা জানান৷ ওই কোচে থাকা অন্য যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামান৷ তাঁরা ট্রেনের গার্ডকে গোটা ঘটনা জানালে গার্ড মালদা স্টেশনে খবর দেন৷ খবর পেয়ে রেলপুলিশ ও রেলকর্মীরা স্টেশন থেকে সামান্য দূরে ট্রেনে এসে পৌঁছান৷ খবর দেওয়া হয় মালদা রেল হাসপাতালে৷ সেখান থেকে এক চিকিৎসক ওই কামরায় গিয়ে প্রৌঢ়াকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷