পান খেতে গিয়ে মালদায় নিখোঁজ ব্যবসায়ী মালদা, 10 অক্টোবর: বাড়ি থেকে পান খেতে বেরিয়ে নিখোঁজ কাপড় ব্যবসায়ী ৷ প্রায় 48 ঘণ্টা পরও তাঁর কোনও সন্ধান মেলেনি ৷ এই ঘটনায় পরিবারের লোকজন পুলিশে নিঁখোজের অভিযোগ দায়ের করেছে ৷ তবে পুলিশও এখনও পর্যন্ত ব্যবসায়ীর খোঁজ করতে পারেনি ৷ এই ঘটনায় অপহরণের রহস্য দানা বাঁধছে হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজার এলাকায় ৷ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যরা ৷ পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর খোঁজে চারদিকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷ বার্তা দেওয়া হয়েছে বিহার পুলিশকেও ৷
নিখোঁজ ব্যবসায়ীর নাম সঞ্জয়কুমার আগরওয়াল ৷ বয়স 48 ৷ ভালুকা বাজার এলাকায় বাড়ি সংলগ্ন জামাকাপড়ের বড় দোকান রয়েছে তাঁর ৷ এলাকায় বড় ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত তিনি ৷ ভালুকা বাজার এলাকায় তাঁর প্রভাবও রয়েছে যথেষ্ট ৷ পান খেতে ভালোবাসেন তিনি ৷ প্রতিদিনই বাড়ির পাশে থাকা ভালুকা রোড রেল স্টেশনের 2 নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশে একটি দোকানে তিনি পান খেতে যেতেন ৷ জানা গিয়েছে , পুজোর মুখে এখন তাঁর দোকানে ব্যবসাও বেশ ভালো চলছে ৷ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খদ্দেরদের আনাগোনা লেগেই ছিল ৷ তবে ব্যস্ততার মধ্যেই রবিবার বিকেলে তিনি পান খেতে যান ৷ বাড়ির পাশে পানের দোকান থাকায় তিনি মোবাইল ফোনও সঙ্গে নিয়ে যাননি ৷ কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৷ এ নিয়ে স্থানীয় ভালুকা পুলিশ ফাঁড়িতে মিসিং ডায়ারি করেছেন তাঁর বাবা ওমপ্রকাশ আগরওয়াল ৷
তাঁর কথায়, "সেদিন বিকেল পাঁচটার পর ছেলে বাড়িতে চা খেতে এসেছিল ৷ তখনও চা না হওয়ায় সে জানায়, পান খেয়ে আসছে ৷ একথা বলে সে পানের দোকানে চলে যায় ৷ চা তৈরির পর সবাই ওকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে ৷ কিন্তু ছেলের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ৷ আমরা অনেক জায়গায় খুঁজেছি ৷ ওকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি ৷ কী হয়েছে, কিছুই বুঝতে পারছি না ৷ ওকে অপহরণ করা হয়েছে কি না সেটা পুলিশ তদন্ত করলেই বোঝা যাবে ৷ তবে ওর সঙ্গে কারও কোনও ঝামেলা ছিল না ৷" ভালুকা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্যামসুন্দর সাহা জানিয়েছেন, নিখোঁজ ব্যবসায়ীর খোঁজ পেতে জেলা জুড়ে পুলিশি তল্লাশি চলছে ৷ পার্শ্ববর্তী বিহার পুলিশকেও এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে ৷ দ্রুত ওই ব্যবসায়ীর খোঁজ পাওয়া যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী ৷
আরও পড়ুন:ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ, তৃণমূলের তির বিজেপি নেতার দিকে
তবে এই ঘটনায় আতঙ্কিত হরিশ্চন্দ্রপুরের ব্যবসায়ীরা ৷ কারণ, বছর তিনেক আগে একইভাবে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এলাকার একটি ইটভাটার মালিক ৷ কিছুদিন পর বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুর থানা এলাকা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছিল ৷ ভালুকা বাজারের পাশেই বিহার ৷ মাঝেমধ্যে ওই রাজ্যের দুষ্কৃতী দল এই এলাকায় অপারেশন চালায় ৷ বিহারের কারও সঙ্গে সঞ্জয়ের কোনও ঝামেলা হয়েছিল কি না সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ তবে এখনও পর্যন্ত সঞ্জয়ের বাড়িতে মুক্তিপণ দাবি করে কোনও ফোন আসেনি ৷