পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

তৃণমূল কার্যালয়ে উত্তর মালদার BJP প্রার্থী খগেন, জড়িয়ে ধরলেন কর্মীদের

হঠাৎই তৃণমূল পার্টি অফিসে উত্তর মালদার BJP প্রার্থী খগেন মুর্মু। বললেন, "এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে তো একসাথেই চলতে হবে।"

তৃণমূল নেতাকে আলিঙ্গন খগেনের

By

Published : Apr 18, 2019, 12:44 PM IST

Updated : Apr 18, 2019, 5:12 PM IST

মালদা, 18 এপ্রিল : দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণকে ঘিরে যখন রণক্ষেত্র চোপড়া, ঠিক তখন রাজনীতিতে গান্ধিগিরির পরিচয় দিলেন উত্তর মালদার BJP প্রার্থী খগেন মুর্মু৷ ভোটপ্রচারে বেরিয়ে সোজা চলে গেলেন যুব তৃণমূল পার্টি অফিসে৷ জড়িয়ে ধড়লেন যুব তৃণমূল কর্মীদের৷ এলাকার উন্নয়নের জন্য একসাথে পথ চলার বার্তাও দিলেন। BJP প্রার্থীর এমন প্রচারে হতচকিত হয়ে পড়েন শাসকদলের কর্মীরা৷ তাঁদের বক্তব্য, হয়তো ভুল করে তাঁদের পার্টি অফিসে চলে এসেছিলেন খগেন মুর্মু৷

আজ দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত চোপড়া৷ ভোটারদের ভোটদানে বাধা, পথ অবরোধ, পাথরবৃষ্টি, বোমা-গুলি সবই চলে সেখানে৷ কিন্তু এরই মধ্যে অন্য ছবি উত্তর মালদা কেন্দ্রের বামনগোলায়৷ প্রচারে বেরিয়ে সোজা যুব তৃণমূলের পার্টি অফিসে চলে যান সেখানকার BJP প্রার্থী খগেন মুর্মু৷ সেই সময় পার্টি অফিসের সামনে ছিলেন বেশ কিছু যুব তৃণমূলের কর্মী৷ ছিলেন খোদ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতিও৷ কাউকে কিছু বোঝার সুযোগ দেওয়ার আগেই খগেনবাবু জড়িয়ে ধরেন তৃণমূল কর্মীদের৷ সাথেই বলতে থাকেন, "আরে আমরা আলাদা দল করি৷ তা বলে কি এলাকার উন্নয়নে এক হতে পারব না? দল দলের জায়গায় থাকুক৷ আমাদের তো একইসঙ্গে থাকতে হবে৷ এলাকার উন্নয়নে একসঙ্গে আওয়াজ তুলতে হবে৷" খগেনবাবুর এই কথায় একমত হন যুব তৃণমূল কর্মীরাও৷

তৃণমূল নেতাকে আলিঙ্গন খগেনের, দেখুন ভিডিয়ো

পরে ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি সুভাষ বর্মণ বলেন, "খগেন মুর্মু আমাদের কাছে এসেছিলেন৷ কিন্তু আমাদের মনে হয়, উনি ভুল করে এখানে চলে এসেছিলেন৷ কারণ, তিনি সদ্য BJP-তে যোগ দিয়েছেন৷ বুঝতে পারেননি, এটা তৃণমূল না কি BJP-র পার্টি অফিস৷ যখন তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন, তখন এখান থেকে চলে গেছেন৷"

তবে, সুভাষবাবু যাই বলুন না কেন, রাজনৈতিক মহলের কথায়, গত 13 বছর ধরে বামনগোলা এলাকার বিধায়ক খগেনবাবু৷ এলাকার প্রতিটি পাড়ার প্রায় প্রত্যেককেই তিনি নামে চেনেন৷ গোটা এলাকা হাতের তালুর মতো চেনা৷ ফলে তিনি ভুল করে যুব তৃণমূলের পার্টি অফিসে চলে গেছেন, এটা ভাবা ভুল৷ এটা তাঁর প্রচারের একটি অঙ্গ৷ যদিও এবিষয়ে খগেনবাবুর বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ ভোট মালদার ঐতিহ্য৷ এবারও সেই ঐতিহ্যে যেন কোনও দাগ না পড়ে, সেটাই তাঁর লক্ষ্য৷ তাছাড়া এলাকার উন্নয়ন করতে গেলে দলমত ভুলে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে৷ এটা তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনের উপলব্ধি৷ সেকারণেই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে যুব তৃণমূলের পার্টি অফিসে গেছেন৷

Last Updated : Apr 18, 2019, 5:12 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details