মালদা, 23 ফেব্রুয়ারি : সামনেই পৌরভোট ৷ তার আগে আজ মালদায় কংগ্রেসের তরফে এক কর্মীসভার আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে এসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, কংগ্রেসের উপর সামগ্রিকভাবে একটা আঘাত এসেছে ৷ তাতে দল খানিকটা দুর্বল হয়েছে ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ একথা অস্বীকার করার উপায় নেই ৷
পৌরভোটে লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে কিছু বলতে রাজি না হলেও এই নির্বাচন ও তার পরবর্তীতে রাজ্যজুড়ে বাম-কংগ্রেসের জোট যে নিশ্চিত তা জানিয়ে দেন সোমেনবাবু ৷ তিনি বলেন, "সামনে পৌরসভা নির্বাচন ৷ তার আগে আজ মালদায় দলীয় কর্মীসভা হচ্ছে ৷ বুথের কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ঠিক করে দিতেই এই কর্মীসভা ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের NRC, CAA, NPR এখন শুধুমাত্র নির্বাচনের ইশু নয় ৷ এটা আমাদের জাতীয় জীবনের ইশু ৷ আমাদের বেঁচে থাকার, অস্তিত্ব বজায় রাখার লড়াই ৷ পৌর নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট কতটা লড়াই করতে পারবে তা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই বোঝা যাবে ৷ তবে বাম-কংগ্রেসের এই জোট অনেককেই আতঙ্কিত করেছে ৷ বিধানসভায় করা মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যেই তা পরিষ্কার ৷ বিধানসভায় তিনি বলেছিলেন, বাম-কংগ্রেস জোট গোল্লা পাবে ৷ যদি তাই হয়, তবে তাঁর উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই ৷ বরং তাঁর খুশি হওয়ার কথা ৷"
তিনি আরও বলেন, "মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর একসময় কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল ৷ সেই গড় রক্ষার দায়িত্ব কর্মীদের ৷ কংগ্রেসের উপর একটা আঘাত এসেছে ৷ যার ফলে কংগ্রেস খানিকটা দুর্বল হয়েছে ৷ তবে নির্বাচনী কৌশল কী হবে সেটা সংগঠনের বিষয় ৷ এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে বলার কিছু নেই৷" আজ টাউন হলে আয়োজিত কর্মশালায় প্রত্যেক বক্তার গলাতেই দলের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উঠে এসেছে ৷ মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরে একসময় কংগ্রেসের যে প্রভাব ছিল, তা এখন আর কেন নেই তা নিয়ে আলোচনা করেন সবাই ৷ প্রত্যেকেই বলেন, বর্তমানে BJP-র মিথ্যে প্রচারে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ BJP-র দিকে ঝুঁকছে ৷ সেই মানুষজনের কাছে দলীয় নেতা-কর্মীদের যেতে হবে ৷ NRC, CAA ও NPR নিয়ে ওই মানুষজনকে বোঝাতে হবে ৷ BJP-র আমলে মানুষের অস্তিত্বই বিপন্ন হতে চলেছে ৷ মানুষকে সেকথা বলতে হবে ৷ ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলায় সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ অন্য জেলাগুলিতেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে ৷ তাহলেই কংগ্রেস ফের নিজের পুরোনো জায়গা ফিরে পাবে ৷"
পৌরনির্বাচনের আগে দলকে চাঙ্গা করতে মালদায় কর্মীসভায় সোমেন মিত্র আজকের কর্মশালায় তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে কয়েকজন নেতা-কর্মী কংগ্রেসে যোগ দেন ৷ কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, এটা যোগদান নয়, নিজের ঘরে ফিরে আসা ৷ তাঁদের হতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সহ অন্যরা ৷