মালদা, 30 মে : বিপজ্জনক দশা কেটেছে ৷ আকাশ গোমড়া থাকলেও আজ আর বৃষ্টি হয়নি ৷ বরং কালো আকাশের চাদর সরিয়ে মাঝেমধ্যে রোদের দেখা মিলেছে ৷ কিন্তু আজও বোরো ধানের জমি দেখে মাঠ বোঝার উপায় নেই ৷ এক চোখে মনে হবে, আদিগন্তবিস্তৃত জলাভূমি ৷ জলের নীচে এখনও দেখা যাচ্ছে ধানের আঁটি ৷ পচন শুরু হয়েছে তাতে ৷
জেলার কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, কম বেশি সব ব্লকেই বোরো ধানের চাষে প্রভাব ফেলেছে যশ ৷ তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে চাঁচলের দুটি ব্লক এবং পুরাতন মালদায় ৷ আজ পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামে বোরো ধানের অবস্থা পরিদর্শন করেন বিডিও ইরফান হাবিব ৷ তাঁর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ৷ বিডিও কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অবশ্য চাষিদের একাংশকেই দায়ী করেছেন তিনি ৷
এদিন বিডিও বলেন, “মারাত্মক বৃষ্টিতে এই ব্লকের বেশিরভাগ বোরো ধানই নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও কেন চাষিরা আগাম কোনও ব্যবস্থা নিল না তা বুঝতে পারছি না ৷ কিছু চাষি ধান কেটে ঘরে তুলে নিলেও কিছুজন আবার ধান কেটে মাঠে ফেলে রেখেছিলেন ৷ পুরাতন মালদা ব্লকের মধ্যে এই গ্রাম পঞ্চায়েতেই ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ৷ আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গোটা ঘটনা জানাব ৷ আশা করা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সমস্ত সরকারি সাহায্য পাবেন ৷ তবে ইতিমধ্যেই দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷”