মালদা, 21 এপ্রিল : লকডাউন থেকে কয়েকটি ক্ষেত্রকে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৷ তাই আজ থেকে মালদার FCI-এর গোডাউন থেকে চাল বের করার কাজ শুরু হয়েছে ৷ লকডাউনে সমস্যায় পড়া মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে FCI গুদামগুলিতে এই চাল পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ গতকাল রাজ্য সরকারের তরফে সেই চাল গোডাউন থেকে বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ আর তাতেই লরিচালক ও কর্মীদের দাপট দেখা গেল পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি এলাকায় ৷ FCI-এর গোডাউনে লরি ঢোকাতে গিয়ে যানজট তৈরি হয় 34 নম্বর জীতায় সড়কে ৷ এমনকী, যানজটে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সও ৷ খবর পেয়েই মালদা থানার পুলিশ গিয়ে ওই এলাকাকে যানজটমুক্ত করে ৷
পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়িতে রয়েছে FCI-এর গোডাউন ৷ কয়েকদিন আগেই সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো চাল মজুত করা হয়েছে ৷ গতকাল রাজ্য সরকার এই চাল লকডাউনে সমস্যায় পড়া মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ সেকথা জানতে পেরে গতরাত থেকেই গোডাউনের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করে একাধিক লরি ৷ আজ সকালে সেখানে কার্যত অচলাবস্থা দেখা দেয় ৷ যে যেখান থেকে পারছে, লরি গোডাউনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ৷ এর জেরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয় ৷ সেখানে থাকা কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়রের পক্ষে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায় ৷ এরই মধ্যে মালতিপুর থেকে মালদা মেডিকেলে এক প্রসূতিকে নিয়ে যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স ৷ কিন্তু, 20 মিনিটেরও বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অ্যাম্বুলেন্সটিকে ৷ সেটিতে রোগী থাকলেও লরিচালক কিংবা খালাসিরা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে কোনও সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ ৷ অ্যাম্বুলেন্স চালক হুমায়ুন শেখ একাধিকবার লরিচালকদের কাছে পথ ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি ৷ সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যান মালদা থানার ট্র্যাফিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুকুমার রায় ৷ তাঁর হস্তক্ষেপে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারেন হুমায়ুন সাহেব ৷