মালদা, 1 এপ্রিল: 1213 বঙ্গাব্দ থেকে শুরু হয়েছিল পুজো ৷ দিন বদলের সঙ্গে মালদার ইংরেজবাজারের প্রাচীন জহুরাচণ্ডী মন্দিরের সেই পুজো কলেবরে আরও বেড়েছে ৷ বিদেশ থেকেও বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন এখানে ৷ গোটা বৈশাখ মাস ধরে কয়েক লাখ মানুষের জমায়েত হয় ৷ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায় পুলিশ । বলতে গেলে উৎসবের মেজাজে মাসটা কেটে যায় এলাকার বাসিন্দাদের । তবে এবারের পরিস্থিতিটা অন্যরকম । কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন চলছে গোটা দেশে । তাই কোনওক্রমে নমো নমো করে পুজোর ব্যবস্থা হলেও বসবে না মেলা । এমনকী ভক্তদের মন্দিরেও ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷ মন্দিরের গেটে বড় বড় হরফে তা লিখে দেওয়া হয়েছে । এতে ইংরেজবাজার ব্লকের জহুরাতলা এলাকার বাসিন্দাদের মনে বিষাদের সুর ।
ইংরেজবাজারের যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জহুরাতলার অবস্থান ৷ মালদা শহর থেকে দূরত্ব প্রায় 10 কিলোমিটার ৷ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে মহানন্দা ৷ ওপারে সামান্য দূরেই বাংলাদেশ ৷ এই গ্রামের আমবাগানের মধ্যেই রয়েছে জহুরাচণ্ডী মন্দির ৷ 1213 বঙ্গাব্দে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ছল্ব তিওয়ারি নামে এক সাধক ৷ পরবর্তীতে তাঁর উত্তরসূরিরাই এই মন্দিরের সেবাইত ৷ মূর্তির পরিবর্তে পুজো হয় পুজো হয় মুখোশের ৷ কথিত রয়েছে, এই মন্দিরে পুজো দিয়ে জলপথে ডাকাতি করতে যেত একদল ৷ সময় গড়ানোর সঙ্গে জহুরাচণ্ডীর মাহাত্ম্যের কথা ছড়িয়ে পড়তে থাকে ৷ জহুরাচণ্ডীর খ্যাতি এখন বিদেশেও ৷ প্রতি বছর বৈশাখ মাস জুড়ে এই মন্দিরে বাৎসরিক পুজো হয় ৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে 200 বছরের প্রাচীন পুজোতেও । নিয়মিত মন্দিরের সাফাই হচ্ছে না ৷ মন্দিরের চাতালে এদিক ওদিক ছড়িয়ে ঝরা পাতা ৷ সকালে সেবাইত মন্দির খুলে কোনওরকমে ধূপকাঠি জ্বালিয়ে মন্দির বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন ৷