হরিদেবপুর, 16 অক্টোবর: স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে নিজেও বিষ খেলেন স্বামী ৷ রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানা এলাকার সোদপুরে। মৃত তরুণীর নাম কৃষ্ণা দে (20)। স্বামীর নাম শুভেন্দু দাস (30) ৷ দু'জনের মধ্যেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ এক বছর আগে রেজিস্ট্রিও হয় তাঁদের। যদিও সম্পর্কের মধ্যে একটা টানাপোড়েন ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই কারণে তাঁরা আলাদাই থাকতেন।
রবিবার রাতে স্ত্রীর বাড়ি যান শুভেন্দু। তদন্তকারীদের অনুমান, বচসা চলাকালীন কৃষ্ণাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন তিনি। মূহূর্তের মধ্যে ঘরের চারপাশে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে কৃষ্ণার কাকা কোনওরকমে ছাদের উপর গিয়ে একটি ফাঁকা অংশ দিয়ে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়েন। দেখেন, তাঁর ভাইঝি মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পাশে পড়ে থাকা শুভেন্দুর হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র ৷ তাঁর মুখ থেকেও গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল ৷ খানিকটা সময়ের মধ্যেই দু'জনের মৃত্যু হয় ৷
পরিবার সূত্রে থেকে খবর, কৃষ্ণা ডিভোর্স ফাইল করেছিলেন ৷ কিন্তু শুভেন্দু তা চাইছিলেন না ৷ কৃষ্ণাকে মত পরিবর্তন করতে চাপ দিচ্ছিলেন। তবে নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় ছিলেন কৃষ্ণা। এই নিয়ে মাঝে মধ্যেই কৃষ্ণার বাড়িতে এসে অশান্তি করতেন শুভেন্দু ৷ দু'জনকেই বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তবে তাতে তেমন কোনও সুরাহা হয়নি। জানা গিয়েছে, রবিবার রাত দশটার নাগাদ কৃষ্ণার বাড়িতে আসেন শুভেন্দু। কৃষ্ণার ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পুলিশের অনুমান, এই সয়ম দু'জনের মধ্যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে বচসা হতে থাকে। ক্রমশ তা বড় আকার নেয়।
তদন্তকারীদের সন্দেহ, কৃষ্ণাকে কোপানোর পর শুভেন্দুও বিষ খেয়েছেন। ফলে তাঁরও মৃত্যু হযেছে। এই ঘটনার জেরে রবিবার রাতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হরিদেবপুর থানার পুলিশ ৷ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ খুনের কারণ জানতে দুই পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন : প্রেমিকের সাহায্যে চোখে সূঁচ ফুটিয়ে স্বামীকে খুন! আটক মহিলা