কলকাতা, 22 অগস্ট: যাদবপুর-কাণ্ডে কিংপিন ছিলেন ধৃত সৌরভ চৌধুরী, মঙ্গলবার আদালতে এই তথ্য দিলেন সরকারি আইনজীবী ৷ আর সেই সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচাতেই ঘটনার দিন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছিল ৷ মূলত সৌরভ চৌধুরীকে পুলিশের চোখ থেকে আড়াল করাই ছিল এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আলোচনার বিষয় ৷ আর এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ যিনি তৈরি করেছিলেন, সেই অ্যাডমিন একজন বহিরাগত বলে জানা গিয়েছে ৷ এবার তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে লালবাজার ৷
আজ সৌরভ চৌধুরী, দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষকে আদালতে তোলা হয়েছিল ৷ তাঁদের সকলের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ তবে, এ দিন আদালতে বিস্ফোরক দাবি করেছেন পুলিশের তরফে থাকা সরকারি আইনজীবী ৷ তিনি জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পিছনে আসল মাথা বা কিংপিন হলেন প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী ৷ আর ঘটনার পর সৌরভকে বাঁচাতে নানান পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা ৷
কী আলোচনা হত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ?
সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, কীভাবে পুলিশি তদন্ত থেকে বাঁচা যায় ? কীভাবে গোটা ঘটনার নাটকীয় মোড় দেওয়া যায় ? তা নিয়েই সংশ্লিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আলোচনা হত ৷ সেখানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের যুক্ত করা হয়েছিল ৷ সৌরভ চৌধুরীকে পুলিশের থেকে আড়াল করাই ছিল লক্ষ্য ৷ কিন্তু, সৌরভ চৌধুরী গ্রেফতার হতেই সেই হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ ডিলিট করে দেওয়া হয় ৷ একে একে গ্রুপের সদস্যদের বের করে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন:ব়্যাগিং-এ যদি কেউ মারা যায় সেটা তাঁর ব্যাপার, বললেন ধৃত দীপশেখরের বাবা
সরকারি আইনজীবী অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতের দাবিতে আদালতে জানান, এই ঘটনা অত্যন্ত বড় ৷ যাঁরা এর সঙ্গে জড়িত, তাঁদের আরও ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন ৷ পুলিশের অভিযোগ, সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ যিনি তৈরি করেছিলেন অর্থাৎ, এর অ্যাডমিন বহিরাগত ৷ তাঁর খোঁজও চালাচ্ছে পুলিশ ৷ সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচানোর পিছনে তাঁর কী স্বার্থ ? ঘটনার সময় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সেই অ্যাডমিন হস্টেলে ছিলেন কি না ? কী কারণে এসেছিলেন ? এই প্রশ্নগুলিও পুলিশ জানতে চাইছে ৷