কলকাতা, 18 মে: পূর্বে মেদিনীপুরের এগরায় অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল রাজ্য পুলিশ । জানা গিয়েছে, রাজ্য পুলিশের তরফে সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে প্রত্যেক এলাকায় কোথায় কোথায় এই ধরনের নিষিদ্ধ বাজি কারখানা গড়ে উঠছে এবং তা কারা পরিচালনা করছে, তার দিকে নজর রাখা ও প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা প্রয়োগ করা । ইতিমধ্যেই উত্তর 24 পরগনা, হুগলি ও বীরভূম পুলিশ এই বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে বলে ভবানী ভবন সূত্রের খবর ৷
আর শুধু নিষিদ্ধ বাজি কারখানা নয়, বরং যেকোনও রকমের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করার পর দুষ্কৃতীরা যাতে সড়কপথে ভিনরাজ্যে পালিয়ে যেতে না পারে, তার জন্য এবার রাজ্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে বিশেষ নির্দেশও দিয়েছে ভবানী ভবন । শুধু ট্রাফিক বিভাগ নয়, বরং বিভিন্ন থানার ওসি ও ইন্সপেক্টর ইনচার্জদের এই বিষয়ে দেখভাল করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ।
ভবানী ভবনের আরও নির্দেশ, পশ্চিমবঙ্গ সঙ্গে যে সড়ক পথগুলি সরাসরি অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে, সেই সব রাস্তায় নাকা চেকিংয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে । এছাড়াও বিভিন্ন সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধির উপর বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে । ভবানী ভবন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছেন রাজ্যে পুলিশের পদস্থ কর্তারা । মূলত জাতীয় সড়কগুলির উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে বলে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৷ এছাড়াও পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তরবঙ্গ-সহ একাধিক জায়গায় যেখানে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা লাগোয়া অঞ্চল, সেইখানে বিশেষভাবে পুলিশি বন্দোবস্ত করা হবে ।
তবে এই বিষয়ে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দীর্ঘদিন রাজ্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব সামলে আসা এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান যে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশে নতুন কোনও নিয়োগ হয়নি । কিন্তু প্রায় প্রত্যেকদিনই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন থানা থেকে বিভিন্ন পুলিশ কর্মীরা অবসর নিচ্ছেন । ফলে একদিকে পুলিশের সংখ্যা কমছে আর এই আইনশৃংখলার দায়িত্ব পালনে হাতেগোনা পুলিশ কর্মীদের নিয়ে এই কাজ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে ।