কলকাতা, 12 মে:নবান্নে এক রিভিও বৈঠকে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো ডাক্তারিতেও কোনও ডিপ্লোমা কোর্স করা যায় কি না, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে ৷ স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গড়ারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাঁর নির্দেশ মেনে শুক্রবার একটি কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য ভবন ৷ আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি ৷
মোট 14 জনকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই রিভিউ কমিটি । মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব তারা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি । এক মাসের মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখে এই কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে স্বাস্থ্য ভবনে । 14 জনের এই কমিটিতে রয়েছেন চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, চিকিৎসক জিকে ঢালি, চিকিৎসক মাখনলাল সাহা, চিকিৎসক মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, চিকিৎসক ইন্দ্রনীল বিশ্বাস, চিকিৎসক সুহৃতা পাল, চিকিৎসক মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য, চিকিৎসক রেজাউল করিম, চিকিৎসক অভীক ঘোষ । এছাড়া রয়েছে ডিএইচএস এবং ডিএমই’র প্রতিনিধিরাও । থাকছেন মেডিক্যাল এডুকেশনের স্পেশ্যাল সেক্রেটরি অনিরুদ্ধ নিয়োগী ও রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য ৷ থাকছেন আইএমএ এবং ডব্লুইবিএমসি’র প্রতিনিধিরাও রয়েছেন ৷
পাঁচ বছরের ডাক্তারি কোর্স তিন বছরে এনে ডিপ্লোমার সাহায্যে চিকিৎসক তৈরি, 15 দিনের ট্রেনিং দিয়ে নার্স তৈরি ও সিনিয়র নার্সদেরকে সেমি ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দেওয়া আদৌ সম্ভব কি না, এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি ৷ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে রিভিউ মিটিং করার সময় চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "ট্রেনিংয়ের নাম করে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করবেন না । স্যালাইন এবং অক্সিজেন দেওয়া, ওষুধ দেওয়া সংক্রান্ত কাজকর্মের ক্ষেত্রে নার্সদের বেশিদিনের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই । ইঞ্জিনিয়ারদের মতো চিকিৎসকদের জন্য ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যেতে পারে । তার ফলে পাঁচ বছরের পরিবর্তে তিন বছরে ডিপ্লোমা কোর্স পাশ করলেই পাওয়া যাবে চিকিৎসক । বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই তাঁদের প্রশিক্ষণ দেবেন । তাঁদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো যেতে পারে ।"
আরও পড়ুন:'মানুষের জীবন এপাং-ওপাং-ঝপাং নয়', ডিপ্লোমা-ডাক্তার নিয়ে বিজেপির তোপের মুখে মমতা
স্বাস্থ্য সচিবকে এই বিষয়টি নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরেই বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন ও নার্স সংগঠনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগের বিরোধিতা করা হয়েছে । আদৌ এই বিষয়টি সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখতেই তৈরি করা হয়েছে এই কমিটি ৷