কলকাতা, 17 জুলাই : প্রায় নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের । এমনি অনেক তদন্ত তো আছেই । তার উপর আবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই আসছে একের পর এক রাজনৈতিক সংবেদনশীল অভিযোগ । এই বিষয়ে সংবেদনশীল কেসগুলি প্রথম থেকেই থানাস্তর থেকে সোজা পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিআইডির সদর দফতর ভবানী ভবনে । তা সে নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলিকাণ্ড হোক, বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষীর রহস্যময় মৃত্যু হোক ।
কিন্তু ডিপার্টমেন্টে কর্মীর অভাবে মুশকিলে পড়েছে সিআইডি ৷ বিশেষত জটিল তদন্তের কাজে অভিজ্ঞ সাব-ইন্সপেক্টর এবং ইন্সপেক্টর স্তরের আধিকারিকদের বেশ অভাব । এই চাপের কারণে অনেক সাব-ইন্সপেক্টর এবং ইন্সপেক্টর স্তরের আধিকারিকই সিআইডিতে পোস্টিং নিতে অনিচ্ছুক । একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার সিআইডির আধিকারিক রেগে বলেই বসলেন যে, তাঁর অন্য কোনও ব্যাচমেট আর সিআইডি তে আসতে চাইছেন না ।
রাজ্যের এক অ্যাডিশনাল এসপি পদমর্যাদার অফিসার বলেন, "এমনিতেই সিআইডিতে উর্দির গ্লামারটা থাকে না । তাঁর উপর আবার রাজনৈতিক সংবেদনশীল কেসে কাজ করার আলাদা মানসিক চাপ । তাই সব মিলিয়েই সিআইডিতে কাজ করার কোনও আকর্ষণই থাকছে না সাব ইন্সপেক্টর বা ইন্সপেক্টর লেভেলের অফিসারদের ৷"
কারণ একটাই । দিনের পর দিন বাড়ছে কেস ডায়েরি সংখ্যা । দিনের পর দিন তদন্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে । কিন্তু লোকসংখ্যা কোথায় ? দক্ষ অফিসারই বা কোথায় ? একাধিক প্রশ্নে এই মুহূর্তে জেরবার ভবানী ভবনের অন্দরমহল ।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর একাধিক তদন্তভার গ্রহণ করেছে রাজ্য পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট, সিআইডি । পূর্ব মেদিনীপুরের বীরপাড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর প্রচারের সময় আক্রমণ, কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি কাণ্ড, মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুন এবং শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর খুনের মামলা ।
এসবেরই তদন্তভার নতুন করে এসে পড়েছে সিআইডির হাতে । তবে বর্তমানে এইসব কেস ডায়েরিগুলি সঠিক কী অবস্থা রয়েছে, কতদূর এগিয়েছে তদন্ত প্রক্রিয়া, তা নিয়ে সিআইডির কোনও বড় কর্তাই মুখ খুলতে চাননি ।