কলকাতা, 22 এপ্রিল : কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে সমস্তরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিল রাজ্য । রাজ্যের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে এই মর্মে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে । সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যের কোরোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে রাজ্য । পাশাপাশি লকডাউন সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা মেনে চলা হবে ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সচিব অজয় ভাল্লাকে পাঠানো ওই চিঠিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেন, "বিষয়টা এমন নয় যে কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধিদল রাজ্যের তরফে কোনও সহযোগিতা পায়নি । বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের অধীনে লকডাউন ও কোরোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত কেন্দ্রের সমস্ত নির্দেশাবলী যাতে মেনে চলা হয় সেবিষয়টি সুনিশ্চিত করা হবে ।"
কোরোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল আসা নিয়ে সোমবার টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । লিখেছিলেন, "কোথাও না কোথাও এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করছে ৷" এরপর প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠান তিনি । চিঠিতে লেখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনের আগেই কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল চলে আসে কলকাতায় ৷ সেদিনই সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ৷ তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল ঠিক কী কারণে রাজ্যে এসেছে, তা স্পষ্ট নয় । কারণ স্পষ্ট না করলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে রাজ্যে ঘুরতে দেব না ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠানো রাজ্যের চিঠি এই সংক্রান্ত আরও খবর : শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, কাল জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙে যাওয়ার সম্ভাবনা
গতকালই অভিযোগ ওঠে, গুরুসদয় রোডের গেস্ট হাউজ় থেকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে । এরপরই কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে গুরুসদয় রোডে BSF-র দপ্তরে দীর্ঘ বৈঠকে নানা বিষয়ে আলোচনা হয় মুখ্যসচিবের ৷ কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা মুখ্যসচিবকে বুঝিয়ে বলেন, তাঁরা ঠিক কী করতে চাইছেন ৷ অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের তরফে কোরোনা নিয়ে পরিসংখ্যানগত সমস্ত তথ্য তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে ৷ সেখানেই দু'দিন ধরে চলা রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতের সমাধান হয় । এরই মাঝে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি আসে নবান্নে ৷ তারপর মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা পরিদর্শন করতে পারবে কেন্দ্রীয় দল ৷ তবে, তাদের সঙ্গে পুলিশ থাকবে ৷ সেইমতো প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অপূর্ব চন্দ্রের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর , মুকুন্দপুর, টালিগঞ্জ এলাকা ঘুরে দেখে ৷