কলকাতা, 3 মার্চ : ওদের কেউ রুপোলি পর্দার নায়ক-নায়িকা। কেউ আবার ডেইলি সোপ এর পরিচিত মুখ। কিন্তু বুধবার তৃণমূল ভবনে ছবিটা ছিল অন্যরকম ৷ তারা ছিল রাজনীতির বাধ্য ছাত্র-ছাত্রী। নিজ নিজ ক্ষেত্রে তারা সকলেই বিচক্ষন ৷ কিন্ত রাজনীতির আঙিনায় নতুন তারা ৷ তাই তারা কী করবেন আর কী করবেন না তা শেখানোর জন্য একটি পার্টি ক্লাসের আয়োজন করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই রাজনৈতিক পাঠশালায় এদিন অন্য মেজাজে দেখা গেল রাজ চক্রবর্তী,মানালি দে, সৌরভ দাস, রনিতা দাস, শ্রীতমা ভট্টাচার্য, সৌপ্তিক চক্রবর্তী, লাভলি মৈত্র, সুদেষ্ণা রায়, পিয়া সেনগুপ্তদের। আর তাই সদ্য দলে যোগ দেওয়া অভিনেতা-অভিনেত্রীদের রাজনীতির অ-আ-ক-খ শেখালেন দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন। ক্লাস চলল প্রায় দেড়ঘণ্টা ৷
এদিন উপস্থিত প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল একটা মোটা বই। কী ছিল সেই বইতে? জানা গিয়েছে, সরকারে উন্নয়নমূলক কাজ ও প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল বইটিতে। আর ক্লাসঘরেই বা কী শেখানো হল? এই প্রশিক্ষণ শিবিরে দলে যোগ দেওয়া অভিনেতাদের শেখানো হল, কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, চিন্তাধারা মতাদর্শকে আক্রমণ করা যেতে পারে। শেখানো হল, বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে কথা বলতে হবে। তৃণমূল সরকারে থাকাকালীন কী কাজ করছে , কোন প্রকল্পে শিরোপা পেয়েছে , তা বেশি করে প্রচার করতে হবে। এছাড়া সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার, তাঁদের কথা শোনার ও বোঝার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অভিনেতাদের।
ক্লাসের পর এদিন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, "এখানে আমি পরিচালক নই। দলের পরিচালক দিদি। আমরা তার নির্দেশে কাজ করব। কিভাবে কাজ করতে হবে তার জন্যই একটা আলোচনা হল। এককথায় এটাকে রাজনৈতির গ্রুমিং বলতে পারেন। আবার আপনারা চাইলে একে ক্লাসও বলতে পারেন। আমরা তো সব কিছু জানিনা। তাই রাজনীতিতে এসে কিভাবে চলতে হবে, কিভাবে কথা বলতে হবে কি করা উচিত নয়, সেটাই আমাদের বুঝিয়ে দিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন।"