পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Illegal Pool Car Business : ঋষভের মৃত্যুও ঠেকাতে পারেনি, সাদা নম্বরপ্লেটে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি পুলকার ব্যবসা

অনেকেই নিজের গাড়িতে গাদাগাদি করে স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে যাতায়াত করে ৷ এই ব্যবসা বেআইনি ৷ কারণ এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গাড়িকে বাণিজ্য়িক কাজে ব্যবহার করা হয় ৷ এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামবে পুলকার সংগঠন ৷ হুঁশিয়ারি দিলেন সাধারণ সম্পাদক (Illegal Pool Car Business) ৷

Private Case used as Pool Car
রাজ্যে অবৈধ পুলকাল ব্যবসা

By

Published : May 12, 2022, 8:43 AM IST

কলকাতা, 12 মে : পোলবার পুলকার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল সাত বছরের ঋষভ এবং গুরুতর আহত হয়েছিল দীপাংশু ভগত । ঘটনাটি ঘটে 2020-র 14 ফেব্রুয়ারি ৷ এরপর আরও একটি মর্মান্তিক পুলকার দুর্ঘটনা হয় উল্টোডাঙায় । তবে এতে কেউ প্রাণ না খোয়ালেও জখম হয় গাড়িতে থাকা বাচ্চারা । এরকম আরও অনেক পুলকারের দুর্ঘটনা আজ অনেকেই মনে রাখেনি । এখনও শহর ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ পুলকার ব্যবসা ।

পুলকার মালিক সংগঠনের বহু সদস্য দীর্ঘ দিন ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৷ তাঁদের অভিযোগ, কারও ব্যক্তিগত গাড়ি থাকলেই স্থানীয় কিছু বাচ্চাদের জোগাড় করে সেই গাড়ি নিয়ে পুলকার ব্যবসা শুরু করে দিচ্ছে । সাদা নম্বরপ্লেট ঝুলিয়ে নিজের গাড়িতেই চলছে স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া-আসার ব্যবসা (Pool Car owner's association protest against illegal pool car business) । অর্থাৎ প্রাইভেট রেজিস্ট্রেশনের গাড়ি কমার্শিয়াল বা বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহৃত হচ্ছে । অথচ বাণিজ্যিক গাড়ির নম্বর প্লেটের রং হলুদ রঙের হয় । প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কী করে এই অবৈধ ব্যবসা চলছে ? পুলিশ কি সব জেনেশুনেও অন্ধ ?

আরও পড়ুন : পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় জখম 2 শিশু আশঙ্কাজনক

এই ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গাড়িতে থাকা বাচ্চাগুলি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সেই ক্ষেত্রে কোনও বিমার সুবিধা পাবে না আহত বা নিহত বাচ্চার পরিবার । ওয়েস্ট বেঙ্গল কনট্রাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সহ পরিবহণ দফতরে বারবার আমরা এই অভিযোগ জানিয়েছি । কমার্শিয়াল পারমিট ছাড়াই চলছে পুলকার ব্যবসা । ফলে মার খাচ্ছে স্কুলবাস ও স্কুল পুলকার ব্যবসা । অভিভাবকরা সব জেনেশুনেও চুপ করে রয়েছেন ৷"

হিমাদ্রিবাবু জানান, ব্যক্তিগত গাড়ির পারমিট বানিয়ে পুলকার ব্যবসা করছে গাড়ির মালিকেরা । অনেক সময় দেখা যায়, একটি গাড়িতে যতগুলো আসন তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক বাচ্চাকে গাদাগাদি করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে । এতে স্কুলে যাতায়াতের পথে গাড়িটির কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে, বাচ্চারা ক্ষতিপূরণ পাবে না । অন্যদিকে রাজ্যও তার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । কারণ একটা বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে রোড ট্যাক্স, সিএফ, পারমিট ও অন্য কাগজপত্রের নবীকরণের জন্য অনেক বেশি টাকা লাগে । গাড়ির কাগজপত্র ঠিকঠাক কি না এবং নম্বরপ্লেট হলুদ রয়েছে কি না, তা অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া উচিত । পরিবহণের সাধারণ সম্পাদক অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে সচেতন হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ৷

আরও পড়ুন :ঋষভের মৃত্যুতে আতঙ্কের ছায়া পুলকার চালকের পরিবারে

ABOUT THE AUTHOR

...view details