কলকাতা, ১৯ মার্চ: " আজ পর্যন্ত বিভিন্ন আধিকারিক এবং মাস্টারমশাইরা এই নিয়ে মোট পাঁচবার ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাত কাটাতে বাধ্য হলেন। প্রতিটা ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীরা দাবি করে, তাদের দাবি এখনই মানতে হবে। এটা কোনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হতে পারে? " গতকাল ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাত কাটানো নিয়ে একথা বললেন যাদপুরের সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ।
গতরাতে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত কাটাতে বাধ্য হন যাদপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। গতকাল দুপুর ২টায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (EC) বৈঠক শুরু হয়। সেখানে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। EC-র সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনাও হয় ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু, কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় রাত দেড়টা পর্যন্ত EC বৈঠক চলে। কিন্তু, কোনও সমাধানে আসতে পারেনি কোনও পক্ষই। নিজেদের দাবি বা প্রশ্নের সদুত্তর না পাওয়ায় বাইরে অবস্থান চালিয়ে যায় ছাত্রছাত্রীরা। EC-তে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়েই বৈঠক শেষ করে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান EC-র সদস্যরা। ক্যাম্পাসে থেকে যান উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।
নিজেদের দাবি নিয়ে এডুকেশন বিভাগের ছাত্র যিশু দেবনাথ বলেন, " বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর ডিজ়াবিলিটিসে আর্থিক দুর্নীতি আছে। পলিসির দিক থেকেও দুর্নীতি আছে। ডিজ়াবিলিটিস স্টাডিজ় মানে ডিজ়াবিলিটিস নিয়ে গবেষণা হবে। এখানে যে গবেষণা হচ্ছে তার সঙ্গে ডিজ়াবিলিটিস-এর দূর-দূরান্ত কোনও সম্পর্ক নেই। সেই গবেষণার নাম করে UGC এবং রাষ্ট্রীয় উচ্চশিক্ষা যোজনার আওতায় এক কোটি টাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই দুর্নীতি কাম্য নয়। গবেষণায় অর্থ বরাদ্দের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নর্মস আছে। সেগুলি অনুসরণ করা হোক। যাদের অভিজ্ঞতা আছে ডিজ়াবিলিটিস নিয়ে, তাঁদেরকে দিয়ে গবেষণা করানো হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণকারী EC যদি এবিষয়ে বলে আমার কিছু করার নেই, তাহলে বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। "