পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Tracker in Commercial Vehicles: পথ নিরাপত্তায় ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক গাড়িতে বাধ্যতামূলক ট্র্যাকার ও এমার্জেন্সি বাটন - বাধ্যতামূলক ট্র্যাকার ও এমার্জেন্সি বাটন

2018 সালে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশকা অনুযায়ী, এ বার রাজ্যেও চারচাকা বাণিজ্যিক গাড়িতে লোকেশন ট্র্যাকার ও এমার্জেন্সি বাটন লাগানো বাধ্যতামূলক করছে পরিবহণ দফতর (Tracker and Emergency Button Compulsory in Commercial Vehicles) ৷ ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সেই কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে ৷

Tracker and Emergency Button Compulsory in Commercial Vehicles
Tracker and Emergency Button Compulsory in Commercial Vehicles

By

Published : Nov 18, 2022, 10:08 AM IST

কলকাতা, 18 নভেম্বর: পথ দুর্ঘটনা এড়াতে এবং যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য পরিবহন দফতর ৷ এবার থেকে সমস্ত বাণিজ্যিক চার চাকার গাড়িতে লাগাতে হবে ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকার ডিভাইস (Tracker in Commercial Vehicles) অর্থাৎ, এলটিডি ও এমার্জেন্সি বাটন (Emergency Button) ৷ নির্দেশিকায় স্পষ্ট করা হয়েছে, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও পারমিট নবীকরণ ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতমূলক (Tracker and Emergency Button Compulsory in Commercial Vehicles) ৷ ডিসেম্বর মাস থেকেই এই নয়া নিয়ম লাগু হতে চলেছে বলে জানানো হয়েছে পরিবহণ দফতরের তরফে ৷

1988 সালের মোটর ভেহিকেল আইন অনুসারে 2018 সালের 1 এপ্রিল কেন্দ্রের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল ৷ এবার পরিবহণ দফতর সম্প্রতি রাজ্যের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করেছে ৷ নির্দেশিকা অনুযায়ী, দু’চাকার গাড়ি, ই-রিকশো এবং তিন চাকার গাড়ি বাদে বাকি সব গাড়িতে লোকেশন ট্র্যাকার ও এমার্জেন্সি বাটন রাখতে হবে ৷ 31 ডিসেম্বরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক চার চাকার গাড়িতে ট্র্যাকার এবং ইমারজেন্সি বাটন লাগাতে বলা হয়েছে ৷

পথ নিরাপত্তায় ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিক গাড়িতে বাধ্যতামূলক ট্র্যাকার ও এমার্জেন্সি বাটন

বেসরকারি বাস মালিকপক্ষ এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ৷ তবে, তাদের মতে বর্তমানে বেসরকারি বাস পরিবহণ আর্থিকভাবে ধুঁকছে ৷ তাই রাজ্য সরকারকের পক্ষ থেকে ট্র্যাকার এবং এমার্জেন্সি বাটন বাসে বসিয়ে দিতে হবে ৷ তা না হলে বাস মালিকপক্ষের উপর বাড়তি আর্থিক চাপ পড়বে ৷

পশ্চিমবঙ্গ বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, "এর আগেও লালবাজারের তরফে বেসরকারি বাস মালিকদের জিপিএস লাগাতে বলা হয়েছিল ৷ বাস মালিকরা তা লাগিয়েও ছিলেন ৷ রাজ্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে আবারও এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ৷ তাই এবারেও আমাদের আর্জি থাকবে যে. পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকেই আমাদের বাসগুলিতে এই ব্যবস্থা করা হোক ৷ কারণ, বর্তমানে আমাদের ব্যবসার যা হাল তাতে বাস চালিয়ে এই জিনিসগুলো বসিয়ে তেলের খরচ জুগিয়ে আমাদের কোনও আয় থাকবে না ৷"

আরও পড়ুন:জ্বালানি খরচ বাড়লেও ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি, উত্তর দিনাজপুরে বন্ধ হতে পারে বেসরকারি বাস

মিনিবাসের ক্ষেত্রেও একই দাবি করা হয়েছে ৷ মিনিবাস অপারেটরস কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, "এর আগেও রাজ্য সরকারের তরফে এরকম একটি পদক্ষেপ করা হয়েছিল ৷ এভাবে শুধু বেসরকারি বাস মালিকদের উপর আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ তবে এই প্রচেষ্টাকে সফল করে তুলতে আমরা সরকারের পাশে রয়েছি ৷ তবে, এত টাকা খরচ করে বাস মালিকদের পক্ষে এগুলো গাড়িতে বসানো সম্ভব নয় ৷"

অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এর আগেও পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানোর কথা বলা হয়েছিল ৷ সেসময় বেশিরভাগ বাস মালিককে নিজেদের পয়সা খরচ করেই মেশিনগুলো লাগাতে হয়েছিল ৷ তাই সরকার কতটা এগিয়ে এসে আমাদের সাহায্য করবে, সেই বিষয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে ৷ তবে, কয়েকটি বিকল্প উপায় ভাবা যেতে পারে ৷ যেগুলি নিয়ে আমরা পরিবহণ সচিবের সঙ্গে কথা বলব ৷ পাশাপাশি সময় খুব অল্প ৷ তাই যাতে আগামী মাসের বদলে সময়সীমা আরেকটু বাড়ানো যায়, সেই বিষয়ে কথা বলব ৷ এছাড়া যে বাসগুলি নতুন তৈরি হয়ে আসছে ৷ সেই বাস নির্মাতা সংস্থা যদি এই মেশিনগুলো আগের থেকেই বসিয়ে দেন, তাহলে বাস মালিকদের অনেকটাই সুবিধা হবে ৷ তবে বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে এই নিয়ম চালু করার কথা বলা হলেও, সরকারি বাস এই নিয়মের ধার ধারবে বলে তো মনে করি না ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details