কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর: বিদায়ী বর্ষার হাত ধরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি পূরণের জোরালো ইঙ্গিত মিলল। পয়লা জুন থেকে 22 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ 22 শতাংশ। কিন্তু চলতে থাকা বৃষ্টি সেই ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের উপর সৃষ্ট নিম্নচাপ এখন ঘূর্ণাবর্তে পরিণত। ফলে জলীয়বাষ্প পূর্ণ বাতাস দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে যাচ্ছে। তার জেরে এই বৃষ্টি, চলবে 26 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৷ আজ, শনিবার পর্যন্ত মেঘলা আকাশ এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। উপরের পাঁচটি জেলা ছাড়াও নীচের দিকের তিনটি জেলাতেও বৃষ্টি হবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া পূর্বাভাসের নির্যাস হল-
- ঝাড়খণ্ডের নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণাবর্ত থেকে বিহার পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ দিক থেকে আসা বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে। এই কারণেই মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে। আজ, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। আগামিকাল ও পরশু অর্থাৎ রবি এবং সোমবার বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটা কমবে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে তার বেশি কিছু নয়। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে দক্ষিণবঙ্গে।
- আজ পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে রাশ থাকলেও তারপর থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে। বাতাসে জলীয়বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বাড়তে থাকবে। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে ও বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। উত্তরবঙ্গে আগামী 48 ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আগামিকাল পর্যন্ত। অতিভারী বৃষ্টি হবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। রবিবারের পরেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকার জেলাগুলিতে, যার জেরে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে ৷