মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বক্তব্য হাওড়া, 2 অগস্ট:সাম্প্রতিক সময়ে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি ৷ বুধবার সেই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন অভিনেত্রী সাংসদ। তবে পালটা নুসরত জাহানের প্রসঙ্গে মন্তব্য করা থেকে অবশ্য বিরতই থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷
এদিন নবান্নে এই সাংসদের প্রসঙ্গ প্রাথমিকভাবে এড়িয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পরমুহূর্তেই তিনি বলেন, "আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার সকলের আছে। অভিযোগ প্রমাণের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল হয়ে যাচ্ছে।" এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে নুসরত জাহানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "আমি এই ব্যাপারে এখানে আলোচনা করব না। ওদের কী ব্যাপার, না ব্যাপার, আমি জানি না। তাই এই নিয়ে মন্তব্য করব না।"
তবে বিষয়টি নিয়ে এখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "কেউ গিয়ে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে। কিন্তু সেই অভিযোগ সত্যি কি না, তা আগে দেখতে হবে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ইডি যা বলছে একতরফা। সিবিআই যা বলছে একতরফা। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল শুরু করে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ আগে দেখুন সত্যি কি না!" মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, যদি অভিযোগ সত্য হয় তবে আইন আইনের পথেই চলবে। এদিন এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির এক সাংসদের দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার প্রসঙ্গও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আমাদের একজন বলছিল ওদের মধ্যে একজন সাংসদ আছেন যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেওয়ার পরও ইডি কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমি নাম বলব না। যাঁর বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে সে সরাসরি চিট ফান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। চিট ফান্ডের মালিকের সঙ্গে বিদেশে ঘুরতে গিয়েছিল। চিটফান্ডের সব তথ্য তাদের বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও, তাদের কেন ডাকা হয় না!"
আরও পড়ুন: নুসরত মিথ্যে কথা বলছেন, দাবি শঙ্কুদেব পণ্ডার
মুখ্যমন্ত্রী খানিক অভিযোগের সুরেই জানান, একই আইনে পৃথক ফল কেন হবে? এক আইন বিরোধীদের জন্য আর এক তাদের দলের নেতাদের জন্য কেন হবে, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মমতা ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "নুসরতের কেস সে বলবে। ওর কেস সে নিজে লড়বে। আইনজীবীরাও এই নিয়ে বলতে পারেন। এটা আমার বিষয় নয়, ব্যক্তিগতভাবে কে, কোথায় জড়িত।" সাংবাদিকদের পেশা ক্ষেত্রের উদাহরণও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "ধরুন আপনারা যেখানে সাংবাদিকতা করছেন, সেখানে মালিক যদি কিছু করে তার জন্য আপনাকে কেন ইডি-সিবিআই ডাকবে! নুসরত যদি কোথাও ডিরেক্টর হয়ে থাকেন, এমন ডিরেক্টর তো অনেকেই অনেক জায়গায় আছেন। ইন্ডিভিজুয়ালের ব্যাপারে আমি কথা বলব না। প্রত্যেকের আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার আছে। আমি না জেনে শুনে কোন কথা বলতে চাই না।"