পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

লকডাউনের জেরে আটকে SET পরীক্ষার ফলপ্রকাশের প্রক্রিয়া - Lockdown situation in West Bengal

লকডাউনের জেরে ফলপ্রকাশের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি । তবে, লকডাউন উঠলেই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফলাফল প্রকাশ করায় কোনও বাধা নেই বলে জানালেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ।

পূর্ত ভবন
পূর্ত ভবন

By

Published : May 22, 2020, 10:32 PM IST

কলকাতা, 22 মে : কোরোনার সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের জেরে থমকে গেছে SET পরীক্ষার ফলপ্রকাশের প্রক্রিয়া । কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর জানান, লকডাউনের জেরে ফলপ্রকাশের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি । তবে, লকডাউন উঠলেই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফল প্রকাশ করায় কোনও বাধা নেই বলেই জানান তিনি ।

প্রতি বছর অধ্যাপক হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (SET) পরীক্ষা নিয়ে থাকে কলেজ সার্ভিস কমিশন । এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই পশ্চিমবঙ্গের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালগুলিতে সহকারি অধ্যাপক পদের জন্য আবেদন করতে পারেন প্রার্থীরা । 2019 সালের 2 সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল 22তম SET পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি । 2 সেপ্টেম্বর থেকে 30 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় 62 হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিলেন এই পরীক্ষার জন্য । চলতি বছর 19 জানুয়ারি হয় সেই পরীক্ষা । মোট 30টি বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেয় কলেজ সার্ভিস কমিশন । কিন্তু, জানুয়ারিতে পরীক্ষা হলেও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ হয়নি SET-এর ফলাফল । এ বিষয়ে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর বলেন, "আমাদের এই বছর পরীক্ষা হয়েছে । ফলপ্রকাশ বাকি আছে । সেই ফল তৈরির কাজ আমাদের সম্পূর্ণ হয়ে গেছে । আমরা ফলপ্রকাশের জন্য মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রস্তুত হয়ে গেছি ।" কিন্তু, ফল প্রস্তুত হওয়ার পরও ফলপ্রকাশ না করতে পারার জন্য লকডাউনই দায়ি বলে জানা গেছে ।

কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ার যোগ্যতামানের এই পরীক্ষার ফলপ্রকাশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষ । ফল প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তরফে দল আসে । তারা পুরো প্রক্রিয়ার পর্যালোচনা করার পর সব ঠিক থাকলে অনুমোদন দেয় । অনুমোদন পাওয়ার পরই ফলপ্রকাশ করা হয় । এই বছর সেই অনুমোদন প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে লকডাউনের জেরে ।

তিনি আরও বলেন, "UGC-র থেকে দল আসে । তারা এসে পুরো প্রক্রিয়াটার পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয় । দুটো উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি আছে । হিয়ারিং কমিটি, মডারেশন কমিটি । সেই কমিটিতে আটজন করে সদস্য থাকেন । সদস্যরা উপাচার্য, প্রধান সচিব স্তরের । সেই কমিটিগুলির সদস্যরা যেমন রাজ্য থেকে আছেন, তেমনই রাজ্যের বাইরের থেকেও আছেন । ফলে, পরিবহন ব্যবস্থা যতক্ষণ না স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ তাঁদের আসার কোনও উপায় নেই । তাই যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ কিছু করা যাচ্ছে না ।" তবে, লকডাউন উঠলেই অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফলপ্রকাশ করে দেওয়া হবে । তিনি বলেন, "যখনই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সঙ্গে সঙ্গেই ফলপ্রকাশের কাজ শুরু হয়ে যাবে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details