কলকাতা, 27 অগস্ট: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এগরার বিস্ফোরণকাণ্ডের পর সরকার বাজি শিল্প নিয়ন্ত্রণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি ৷ তাঁর দাবি, এই কারখানাগুলির সঙ্গে শাসকদলের স্বার্থ জড়িত বলেই এগুলির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে না রাজ্য ৷ তাই এ বারও সংবাদমাধ্যমের মনোযোগ এই ঘটনা থেকে সরে যাওয়া পর্যন্ত সরকার অপেক্ষা করবে এবং কোনও ব্যবস্থা নেবে না বলে দাবি করেন শুভেন্দু ৷
রবিবার উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরে ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মোচপোল এলাকায় একটি বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ফিরে আসে এগরার স্মৃতি ৷ এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি ঘটনার পর ওই এলাকার একটি ভিডিয়ো ও বেশ কয়েকটি ছবি তাঁর সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন ৷ আর ক্যাপশনে গোটা ঘটনা তুলে ধরে টেনে আনেন এগরার বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ ৷
শুভেন্দু টুইটে লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গে আর একটা দিন, আর একটা বিস্ফোরণ । এ বার দত্তপুকুরে; উত্তর 24 পরগনা । মৃতদেহ এখনও গণনা করা হচ্ছে, সম্ভবত 10 ছাড়িয়ে যাবে । 17 মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে তৃণমূলের ভানু বাগ দ্বারা পরিচালিত একটি বোমা তৈরির ইউনিটে বিস্ফোরণের পর এটা ঘটল; যা এক ডজন মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল ৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার আতশবাজি শিল্প নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বড় দাবি করেছিল । তারা বলেছে যে, এই ধরনের অবৈধ কারখানার আর অস্তিত্ব যাতে না থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে এবং রাজ্য মন্ত্রিসভা 'সবুজ বাজি তৈরির জন্য ক্লাস্টার' স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং মুখ্যসচিব শ্রী হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (আইএএস) এর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে । মনে হয়, এটা ছিল নিছক একটা পাবলিসিটি স্টান্ট, যাতে সে সময় টানটান উত্তেজনা ও জনরোষ ছড়িয়ে পড়েছিল তা প্রশমিত করা যায় । পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বমহিমাতেই আছে এবং নজরদারির বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি ।"
আরও পড়ুন:এগরার পর দত্তপুকুর! বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত মহিলা-সহ কমপক্ষে 6
দত্তপুকুরের বিস্ফোরণকাণ্ডের পরও সরকার কিছুই করবে না বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ কারণ তাঁর মতে, এই বিস্ফোরক উৎপাদনের কারখানার সঙ্গে শাসকদলের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে ৷ বিরোধী দলনেতা টুইটে লিখেছেন, "তারা এ বারও কোনও ব্যবস্থা নেবে না এবং ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করবে মিডিয়ার মনোযোগ কমে যাওয়ার জন্য । এই অবৈধ বিস্ফোরক উৎপাদন ইউনিটগুলির সঙ্গে তৃণমূল দলের স্বার্থ জড়িত । টিএমসি-র গুন্ডারা কোনও নিয়ম বা পর্যবেক্ষণ সহ্য করবে না ।"