বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা, 6 মে: এসপ্ল্যানেড নয়, নাম বদলে ধর্ম ঠাকুরের নামে হোক মেট্রো স্টেশনের নামকরণ ৷ শনিবার এমনই দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এদিন ধর্মতলায় ধর্ম ঠাকুরের পুজোতে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু ৷ আর সেখানে এসেই মেট্রো স্টেশনের নাম এসপ্ল্যানেডের পরিবর্তে ধর্মতলা করার দাবি জানান তিনি ৷
ধর্মতলায় বঙ্গ কুম্ভ মেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সাধু-সন্ন্যাসীদের সমাবেশে চলছে ধর্ম ঠাকুরের পুজো ৷ শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই পুজো চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ৷ সেই পুজোতেই যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে দাঁড়িয়েও রাজ্য়ে সরকার বদলের ডাক দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, যে এই রাজ্যে সনাতন ধর্মের কাজ-কর্ম করতে গেলে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। এ রাজ্য়ে তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলে বলেও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকেরী। আর সেকারণেই পালাবদলের ডাক দিয়েছেন তিনি ৷
এদিন শুভেন্দু বলেন, "আমি আমার সনাতনী ভাই-বোনদের বলব, যেদিন এই রাজ্যে যোগী অদিত্যনাথের মতো সরকার গঠন হবে, সেদিন আপনাদের বলার আগেই আমরা আপনাদের দাবি মিটিয়ে দেব। সেই প্রার্থনা আপনারা করুন যাতে পশ্চিমবঙ্গ সুদিনের মুখ দেখতে পায়।" পুজোয় যোগ দিয়ে শুভেন্দু এদিন মা গঙ্গার পুজো করে সন্ধ্যারতি করেন। বঙ্গ কুম্ভ মেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতার কাছে পাঁচটি দাবি রাখা হয়। এই পাঁচটি দাবি হল, এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন নাম করতে হবে। সেই সঙ্গে, লেনিন সরণির নাম পরিবর্তন করে ধর্মতলা রোড করারও দাবি জানায় তারা ৷ একই সঙ্গে, রেড রোডের নাম পরিবর্তন করে ধর্মরাজ সরণি করতে হবে এবং এই স্থানে নিয়মিত ধর্ম পুজোর পূজার্চনার অনুমতি প্রদানেরও দাবি জানানো হয় সংগঠনের তরফে ৷
এই পাঁচ দাবির মধ্যে মেট্রো রেলের নামের বিষয়টি দেখবেন এবং কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন বলেও জানান শুভেন্দু ৷ ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন নামকরণ যাতে করা যায় তা নিয়ে আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা। তবে অন্যান্য দাবিগুলি রাজ্য সরকারের বিষয়াধীন তাই বর্তমান সরকার পরিবর্তন না-হলে সেই বিষয়গুলি নিয়ে তিনি তেমন কিছু করতে পারবেন না বলেও জানান শুভেন্দু। কলকাতাবাসীদের কাছে পুরনো কলকাতার একটি খণ্ড ধর্মতলা, যা শহরের প্রাণকেন্দ্র ৷ হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দিতেই এই পুজো শুরু করা হয়েছে বলে দাবি সংগঠনের। কলকাতার মেও রোড দিয়ে পার্ক স্ট্রিটের দিকে কিছুটা এগোলেই বাদিকেই ধর্ম ঠাকুরের শীলা প্রতিষ্ঠা করে শনিবার বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন থেকে শুরু হয়েছে এই পুজো। চলবে আগামী 9 মে পর্যন্ত। সংগঠনের দাবি, এই পুজোয় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধু-সন্তদের সমাবেশ হবে। এই পাঁচ দিন ধরে চলবে হোমযজ্ঞ, ধর্মীয় সভা, বাউল গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে কংগ্রেস জেতার পর বিজেপি অক্সিজেন পেয়েছে, দাবি অভিষেকের