কলকাতা, 1 অগাস্ট : সমন্বয় প্রায় ছিল না বললেই চলে । চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে BSF । কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশে সীমান্তে গোরু পাচার রোধে সমস্যায় পড়ছে জওয়ানরা । সেই সূত্রে BSF চাইছিল, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য । দিন কয়েক আগে BSF এর DIG(G) এস এস গুলেরিয়া বলেন, "বিভিন্ন সুযোগের মাধ্যমে চলছে গোরুপাচার । পাচারকারীরা পাচারে বাধা পেলে অস্ত্র ও বোমাসহ আক্রমণ করছে সীমান্তরক্ষীদের উপর । এই পরিস্থিতিতে গোরুপাচার রোধে প্রয়োজন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় । সাহায্য প্রয়োজন সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষের । কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পাচারকারীরা টাকা ছড়িয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর মানুষের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছে । সব মিলিয়ে সীমান্তের গোরুপাচার রোখা কঠিন হয়ে পড়ছে । তারপরও সীমান্তরক্ষী বাহিনী অতন্দ্র প্রহরী হয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে সীমান্ত রক্ষার ।" বিশেষ সূত্রে খবর, ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের IG এবং BSF-এর উচ্চপদস্থ কর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে । সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে এবার পাচার রোধে হাতে হাত রেখে কাজ করবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ ।
অন্তরায় কেন্দ্র-রাজ্য তিক্ত সম্পর্ক । সেই সূত্রেই BSF-এর সঙ্গে পুলিশের সমন্বয় ছিল না বললেই চলে । ঘনিষ্ঠ মহলে কিংবা ঘরোয়া আড্ডায় BSF কর্তারা এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেন । এরই মাঝে গত জুনে ঘটে যায় একটি ঘটনা । উত্তর 24 পরগনার এয়ারপোর্ট সংলগ্ন আটঘরা এলাকায় গোরুবোঝাই 14 টি ট্রাক আটকায় BSF । সোর্স মারফত BSF-এর কাছে খবর ছিল, ওই গোরুগুলি সীমান্ত দিয়ে পাচার এর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । এই ট্রাক আটকানোয় নেতৃত্ব দেন BSF কর্তা জি এস চৌহান ও নীতিশ শর্মা । তারপর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বাগুইআটি থানায় । বিশেষ সূত্র জানাচ্ছে, BSF-এর উপরমহল থেকে বিধাননগর পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলা হয় । অনুরোধ করা হয়, ট্রাকগুলি আটক করতে । কিছু পরে ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ । অভিযোগ, BSF-এর থেকে ওই 14 টি ট্রাকের চাবি নিয়ে তা দিয়ে দেওয়া হয় গোরু ব্যবসায়ীদের হাতে । পুলিশের পক্ষ থেকে BSF-এর বৈধতা দিয়েই প্রশ্ন তোলা হয় । বিষয়টিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় BSF । এ নিয়ে জল ঘোলা হয় বিস্তর । সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়টি জানানো হয় দিল্লিতেও ।