কলকাতা, 21 এপ্রিল : পরিবহণ দফতরে দায়িত্বে আসার পর ফিরহাদ হাকিমের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ট্রাক ওভার লোডের সমস্যার কিছুটা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে । তবে বড় সংস্থার ক্ষেত্রে বন্ধ হয়নি এই সমস্যা । এর ফলে মার খাচ্ছে ছোট ও মাঝারি ট্রাক মালিকরা (Small Truck Owners Lossing Profit due to Truck Overload Problem) । উত্তরোত্তর জ্বালানির দাম সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে । তাই মালিক পক্ষের আশঙ্কা যে, এমনটা চলতে থাকলে তাঁদের ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলতে আর বেশি দেরি নেই ।
অনেক সময় অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি মাল বোঝাই ট্রাক উল্টে পথ দুর্ঘটনা ঘটে । অতিরিক্ত মাল বোঝাই করা ট্রাকের যাতায়াতের ফলে খারাপ হয়ে যাচ্ছে রাস্তা, ব্রিজ ও ফ্লাইওভার । তাই লোডিং এর সমস্যাকে শক্ত হাতে দমন করাতে চড়া জরিমানা থেকে শুরু করে লোডিং পয়েন্টে পরিবহণ ও পুলিশ আধিকারিকদের সারপ্রাইজ পরিদর্শনের মতো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । এর জেরে এই সমস্যার কিছুটা নিষ্পত্তি হলেও পুরোপুরিভাবে তা বন্ধ হয়নি । এর ফলে লাভ কমছে ছোট ও মাঝারি ট্রাক ও লরি মালিকদের ।
আরও পড়ুন :ওভারলোডিং রুখতে কড়া ব্যবস্থা পরিবহণ দফতরের
ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুভাষ বসু বলেন, "প্রায় 60 থেকে 70 শতাংশ ট্রাক ও লরির ওভারলোডিং বন্ধ হলেও বড় ট্রাক ব্যবসায়ী সংস্থাগুলি রমরমিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ওভারলোডিং । এই বড় বড় সংস্থাগুলি অবৈধভাবে পুলিশ ও প্রশাসনের যোগসাজশে এখনও পুরোদমেই ওভার লোডিং চালাচ্ছে । বালি খাদানগুলো সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত । খাদানগুলো থেকে জোর করে বেশি মাল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ট্রাকে । এমনকি সরকার নির্ধারিত টাকাও নেওয়া হচ্ছে না । প্রশাসনের কিছু আধিকারিকদের মদতেই এই সব কাজ হচ্ছে ।"
যে ট্রাকের 300 টন বালি লোড (Truck Overload Issue) করার অনুমতি রয়েছে সেই ট্রাক 700 থেকে 800 টন বালি লোড করাচ্ছে । এর ফলে সেই ট্রাকগুলো অসাধুভাবে অনেক বেশি মুনাফা কামিয়ে নিচ্ছে ।
আরও পড়ুন :ওভারলোডিং রুখতে জরিমানা বৃদ্ধি করা হবে , জানালেন পরিবহণমন্ত্রী