কেষ্টপুর, 18 ডিসেম্বর : মঙ্গলবার রাতে কেষ্টপুরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । এখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বক্তব্য রাখেন BJP নেতা শমীক ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, " ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের পরেও পুনরায় এই দেশের অংশ দখল করার উদ্দেশেই বদলে দেওয়া হচ্ছে জনবিন্যাস । যারা এই দেশকে অপবিত্র তকমা দিয়েছিল, ছেড়ে চলে গিয়েছিল তারা কী কারণে ফের এই দেশে ফিরে আসছে ।"
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শমীকের
রাজ্যজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে অশান্তি অব্যাহত । একশ্রেণির মানুষ আন্দোলনের নামে হিংসা চালাচ্ছে । শাসকদল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে । এই অবস্থায় BJP সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জনগণকে আইনের মূল বিষয়বস্তু বোঝাতে তৎপর হয়েছে । এই উদ্দেশ্যেই মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় জেলার যুব সম্পাদক চিরঞ্জিত ঘোষের উদ্যোগে আয়োজিত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কিত আলোচনা সভা । এ সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করেন তিনি ।
রাজ্যজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে অশান্তি অব্যাহত । একশ্রেণির মানুষ আন্দোলনের নামে হিংসা চালাচ্ছে । শাসকদল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে । এই অবস্থায় BJP সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জনগণকে আইনের মূল বিষয়বস্তু বোঝাতে তৎপর হয়েছে । এই কারণেই মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় জেলার যুব সম্পাদক চিরঞ্জিত ঘোষের উদ্যোগে আয়োজিত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কিত আলোচনা সভা । এই সভায় উপস্থিত ছিলেন BJP নেতা শমীক ভট্টাচার্য, উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি কিশোর কর ও রন্তিদেব সেনগুপ্ত ।
এ সভায় তিনি রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন," আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সরকার ব্যর্থ । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী ও শাসক দলের নেত্রী । তার একটা রাজনৈতিক অতীত আছে । আন্দোলনরত অবস্থায় মানুষ তাকে দেখতে অভ্যস্ত । তিনি সংবিধানের শপথ নিয়েছেন । তাঁর দল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করতে পারে । তাঁরা মনে করলে বলতেই পারে এই আইন ভারতীয় সংবিধানের মূল দর্শনের পরিপন্থী নয় । কিন্তু রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে পারে না । যারা ভারতবিরোধী, অন্য সম্প্রদায় বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে , নিরপরাধ মানুষের ওপর আক্রমণ করছে , তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে,যাদের কারণে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে , হাজার হাজার মানুষ তাদের কারণে চিকিৎসা করার জন্য রাজ্যের বাইরে যেতে পারছে না । এটা আন্দোলন নয় , এটা নৈরাজ্য । কোনও সরকার এই নৈরাজ্যের শরিক হতে পারেনা ।" রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও আক্রমণ করেন BJP নেতা । তিনি বলেন,"মমতার সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঝামেলার দিন প্রকাশ্যে বলছেন যে তোমরা বন্ধ কর । আগুন বন্ধ কর, হিংসা বন্ধ কর । না হলে 70 শতাংশ মানুষ ক্ষুব্ধ হবে এবং এটা নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের হাত শক্ত করবে । সুতরাং যারা রাজ্যের গোটা রাজনীতিকে হিন্দু-মুসলমানের আঙ্গিকে বিচার করছে, আমরা তাদের মতো নই । এই আইন কোনও হিন্দু কিংবা মুসলমানের উপকার করবে না । এই আইন 125 কোটি মানুষের নিরাপত্তা এবং অত্যাচারিত মানুষের পাশে দাঁড়াবার জন্য তৈরি হয়েছে ৷ "