কলকাতা, 5 জুন:সন্তানদের নিয়ে দুবাই যাচ্ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু তাঁকে দুবাই যেতে দেওয়া হল না । বিমানবন্দরেই তাঁকে আটকে দেয় অভিবাসন বিভাগ ৷
সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিমানবন্দরের সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করার পর যখন তিনি অভিবাসন বিভাগে যান, তখন তারা বলে যে রুজিরাকে যেতে দেওয়া হবে না ৷ তিনি দুবাই যেতে পারবেন না । এরপর সকাল দশটার কিছু সময় বাদে বিদেশযাত্রা করতে না পেরে, বিমানবন্দর থেকে ফিরে যান রুজিরা ।
তিনি গোটা বিষয়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান । অভিষেকের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, এই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদ । এ ক্ষেত্রে যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ ছিল, তাই আদালত অবমাননার মামলা করতে চলেছেন তিনি ৷
দেশের শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ তার পরেও কেন তাঁকে বিমানবন্দরে আটকানো হল, এই প্রশ্ন তুলে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে অবমাননা করার অভিযোগে আদালত অবমাননার মামলা করতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । যদিও সূত্রের খবর, ইডি-র লুক আউট নোটিশ থাকায় রুজিরাকে বিদেশ যেতে আটকানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:কেন 2 বছরেও শেষ হল না তদন্ত, রুজিরা-মেনকার বিরুদ্ধে মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্ন
প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । সেই রক্ষাকবচ জারি রেখেছিল দেশের শীর্ষ আদালতও ৷ গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সস্ত্রীক বিদেশযাত্রায় কোনও বাধা নেই ।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতার বাইরে রয়েছেন । এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজই চার দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল । যদিও পরে সেই সফর বাতিল করা হয়েছে ৷ এই রকম একটা মুহূর্তে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার ঘটনা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ । আদালতের অনুমতি থাকার পরও ঠিক কী কারণে তাঁকে আটকানো হল, তা স্পষ্ট ভাবে না জানা গেলেও মনে করা হচ্ছে, ইডির একটি লুকআউট নোটিশ থাকায় রুজিরাকে আটকানো হয়েছে ৷
যদিও এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইটে লিখেছেন, "রাজনীতিতে পাল্লা দিতে না পেরে যারা ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বাড়ির লোকদের হয়রানির মাধ্যমে নেতিবাচক বার্তা রটাতে চায়, তারা কাপুরুষ এবং রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া । মনে রাখুক, প্রত্যেক ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে । তৃণমূল সহ্য করছে মানুষের উপর আস্থা রেখে । বাংলার মানুষ জবাব দেবেন ।"