কলকাতা, 22 জুন: কোনও বয়সের ভেদাভেদ নেই। হাড়ের সমস্যায় ভুগছে আট থেকে আশি। বহু চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেও মিলছে না-সুরাহা। তবে সেই সুরাহার পথ দেখাল এবার রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল। আরজিকর হাসপাতালে ইনস্টল করা হল নতুন যন্ত্র। প্রায় 60 লক্ষ টাকার চিকিৎসা হবে বিনামূল্যে। আধুনিকমানের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি যন্ত্র বসানো হল হাসপাতালে। দু'মাসে এই যন্ত্র তাক লাগিয়ে দিয়েছে হাসপাতালের অ্যানাস্থেসিওলজি অ্যান্ড ক্রিটিকাল কেয়ার বিভাগকে ৷
এতদিন হাড়ের ব্যথা কমানোর জন্য পিআরপি (প্লেটলেট রিচ প্লাজমা) থেরাপি দেওয়া হত। এই থেরাপির প্রক্রিয়াটা মূলত ব্যথা হওয়ার উৎসস্থল ৷ যে নার্ভ সেটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এই থেরাপির ফলে গ্রেড টু কিংবা থ্রি পর্যায়ে এলে 80 শতাংশ ভালো হয়ে যায়। কিন্তু স্টেজ ফোর পর্যায়ে এলে পিআরপি সঙ্গে আরএফ লাগে। চিকিৎসকদের মতে, পিআরপি-তে নিজের শরীরের প্লাজমা সংগ্রহ করে ব্যথার দূর সাহায্যে উদ্ধার উৎসস্থলে দেওয়া হয়। নতুন আরএফ অ্যাবলেশন মেশিনটি দু'রকম ভাবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা থাকে।
যেখানে ব্যথা সেখানকার স্নায়ু সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। দীর্ঘমেয়াদি বিশ্রামের জায়গা ব্যথা নির্মূলে এটি এমন একটি নিরাপদ পদ্ধতি, যেখানে ব্যথার সংকেত বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই বিষয়ে আরজি করের চিকিৎসকদের মতামত হল, বেসরকারি ক্ষেত্রে পিআরপি হোক কিংবা আরএফ, উভয়ক্ষেত্রেই খরচ অনেক বেশি। পিআরপি চিকিৎসার ক্ষেত্রে শুধু ওই কিটটারই দাম 8 থেকে 10 হাজার টাকা। দু'বার পিআরপি করলে 25-30 হাজারের মতো খরচ পড়ে। আরএফ এর ক্ষেত্রে এক-একটা সূচের দামই 15-20 হাজার টাকা।
আরও পড়ুন:স্বল্প পরিকাঠামোর মধ্যেও জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য শান্তিপুর হাসপাতালের চিকিৎসকদের
স্বাস্থ্যসাথীতে করলেও 40 হাজারের মতো খরচ হয়। 2 থেকে 3টি সিটিং লাগে। আরজি করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রোগীরা সর্বোত্তম পরিষেবা পাচ্ছেন। আরজি করে 2011 সালে পেইন ক্লিনিক শুরু হয়। 2014 সালে 5টি আসনে শুরু হয় এফআইপিএম (ফেলোশিপ ইন পেইন ম্যানেজমেন্ট) কোর্স। সপ্তাহে 2 দিন মঙ্গল ও শুক্রবার করে ওপিডি চলে। প্রতি মাসে পাঁচশোরও বেশি রোগী হয়। তবে আগামিদিনে পেইন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ডিএম কোর্স খোলার ইচ্ছে এবং বিভাগের পরিকাঠামো ও পরিষেবা বাড়ানো নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে আরজি কর হাসপাতালের।