কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর : আজ আলিপুর আদালতে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী গোপাল হালদার ৷ পাশাপাশি, তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানায় CBI ৷ সওয়াল-জবাব চলাকালীন রাজীব কুমার 'পলাতক' বলে আদালতে জানান CBI-এর আইনজীবী ৷
CGO কমপ্লেক্সে হাজিরার জন্য একাধিকবার CBI-এর তরফে রাজীব কুমারকে নোটিশ পাঠানো হয় ৷ কিন্তু, হাজিরা এড়িয়ে গেছেন তিনি ৷ শুনানি চলাকালীন আজ বিচারকের উদ্দেশে CBI-এর আইনজীবী বলেন, "রাজীব কুমারকে সমন পাঠানো হচ্ছে । অথচ উনি আসছেন না । এটা ক্রিমিনাল কন্সপিরেসি । হাইকোর্ট বলেছে, ওঁকে সাহায্য করতে । DGP-কেও চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়া সব IPS কোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ ওঁর খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না । সর্বত্র খোঁজা হয়েছে । নোটিশ পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু, তাঁর দেখা নেই । রাজীব কুমার পলাতক ।"
চিটফান্ড মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রকারী রাজীব কুমার । ওই তদন্তের সঙ্গে জড়িত তিন পুলিশ কর্তা CBI-কে হলফনামা দিয়ে একথা জানিয়েছেন ৷ শুনানির সময় CBI-এর আইনজীবী বলেন, "তদন্তের সঙ্গে যুক্ত তিন পুলিশ কর্তা রাজীব কুমারের নির্দেশে কাজ করেছেন । SIT-এর তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দিতেন অর্ণব ঘোষ । তাঁকে নির্দেশ দিতেন রাজীব কুমার । " তখন বিচারক বলেন , "রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করার জন্য আপনাদের কাছে যখন সব নথি রয়েছে তাহলে আদালতে এসেছেন কেন ? " তখন CBI-এর আইনজীবী দাউদের পালানোর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "দাউদের ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বাঁধার জন্য আদালতে যাওয়া হয়েছিল ৷ আমরা চাই আদালতের নির্দেশে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে ৷ "
এর পালটা রাজীব কুমারের আইনজীবীর বক্তব্য, "45(2) ধারায় বলা আছে, গ্রেপ্তারের জন্য রাজ্যের অনুমতি নিতে হবে ৷ এমনকী, শিলংয়ে তাঁকে 40 ঘণ্টা ধরে টানা জেরা করা হয়েছিল ৷ তাই তদন্তে অসহযোগিতার প্রশ্ন ওঠে না ৷" সওয়াল-জবাব চলার পর আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারক সুব্রত মুখার্জি ৷