পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

একুশের নির্বাচনে ভরাডুবি, বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে বড় রদবদল, সরছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়

একুশের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ভরাডুবির পর কাটাছেঁড়ায় বসেছে বিজেপি ৷ দলীয় সাংগঠনিক স্তরে বড় ধরনের রদবদল হচ্ছে বলে খবর বিজেপি সূত্রে ৷ সরানো হচ্ছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ৷ এই তালিকায় আছেন বেশ কিছু জেলা সভাপতির পাশাপাশি তিনজন সাধারণ সম্পাদকও ৷

কৈলাস বিজয়বর্গীয়
কৈলাস বিজয়বর্গীয়

By

Published : May 11, 2021, 11:06 PM IST

Updated : May 12, 2021, 10:55 AM IST

কলকাতা, 11 মে: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আশাপ্রদ ফল না হওয়ার পর দলের সাংগঠনিক স্তরে বড় ধরনের রদবদল হচ্ছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর ।

সূত্রের খবর, রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ও বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । নতুন কোনও মুখ রাজ্যের সংগঠনের দায়িত্ব নিতে চলেছেন ৷ তবে এবার এই পদে কোনও বাঙালিকেই বসানো হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে । সারানো হতে পারে রাজ্যের সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননকেও ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যের অস্থায়ী পর্যবেক্ষক হিসাবে কেন্দ্রীয় নেতা তরুণ চুঘ রাজ্যে এসেছেন । তিনিই এখন রাজ্যের সাংগঠনিক বিষয় তদারকি করবেন বলে দিল্লি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন ।

অন্যদিকে, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকেও তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে খবর । এই পদে নতুন কোনও মুখকেই চাইছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) । বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই সংগঠন মন্ত্রী সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে অমিতভ চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দেওয়া হয় । সেটা যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্ত ছিলও সেটাও কেন্দ্রীয় টিমের অন্তর তদন্তে ধরা পড়েছে ।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সভাপতি পদে বসেন 17 ডিসেম্বর 2019 সালে । এখনও দেড় বছর তাঁর মেয়াদ আছে । দিল্লি সূত্রে খবর, তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদেই রাখতে চাইছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । এখনই রাজ্য সভাপতি পদে বদল চাইছেন না তিনি । এই নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে সভাপতি পদে আছেন দিলীপ । বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী 6 বছরের বেশি এই পদে থাকতে পারবেন না তিনি ।

রাজ্যে 2024-এর লোকসভা নির্বাচনই পাখির চোখ করেছে দিল্লি । হাতে 3 বছর সময় । বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে 2019 সালে রাজ্য থেকে বিজেপি যে 18টি আসন পেয়েছিল সেটা ধরে রাখাই বিজেপি কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ।

এর মধ্যেই সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের কারণ খুঁজতে দলের অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে । ভরাডুবির জন্য হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ও উত্তর 24 পরগনা, কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান-সহ অন্তত 10টি জেলার জেলা সভাপতিকে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে । শুধু জেলা সভাপতি নয়, এই জোনের পর্যবেক্ষককেও সরানো হবে বলে জানা গিয়েছে ।

বিজেপির সাধারণ সম্পদক পদেও বড় ধরনের রদবদল হতে পারে । 5 জন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে 3 জনকে সারানো হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর । বিজেপির দুই সাংসদ সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন । হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে তাঁর পদ থেকে সারানো হতে পারে । কারণ নিজেদের লোকসভা কেন্দ্রে সময় দেওয়ার পর তাঁদের পক্ষে বিজেপির সংগঠন দেখা সম্ভব নয় । বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংকেও তাঁর পদ থেকে সারানো হতে পারে বলে খবর ।

এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যা নির্দেশ দেবেন সেই নির্দেশ মেনেই সাংগঠনিক পরিবর্তন করা হবে । তবে যে জেলাগুলিতে বিজেপির খারাপ ফল হয়েছে সেখানে আমরা জেলা সভাপতির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি । 2021-এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আমরা দিল্লিকে একটা রিপোর্টে পাঠাব । তবে দলের সংগঠনের তরফে কোনও গাফিলতি হলে দল তার ব্যবস্থা নেবে ৷"

আরও পড়ুন: গঙ্গায় ভাসছে মৃতদেহ...আর আপনার চোখে গোলাপি চশমা, মোদিকে আক্রমণ রাহুলের

Last Updated : May 12, 2021, 10:55 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details