কলকাতা, 21 জুলাই:কথায় বলে, মানুষ অতীতকে মনে রাখে না। পুরনোকে ঝেড়ে ফেলে দেওয়া স্বাভাবিক প্রবৃত্তির মধ্যেই পড়ে ! আর তাই হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেও ৷ এক বছরের ব্যবধানে তাঁর ক্ষেত্রে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই ৷ 21-এর যে মঞ্চে একসময় তৃণমূলের মহাসচিবের চেয়ার সামলাতেন ঘটা করে, সেই তিনিই এখন গড়াদের পিছনে ৷ অবশ্য তার প্রভাব আদৌ কতটা পড়বে আজকের একুশে সমাবেশে তা প্রশ্নাতীত না হলেও, চূড়ান্ত প্রভাব পড়েছে একদা দলের মহাসচিবের উপরে, তা নিঃসন্দেহে বলাই যায় ৷
লোকে কার্যত ঠাট্টার সুরেই বলতেন, ফিকি এবং রাষ্ট্রসংঘ ছাড়া আরও একজন মহাসচিব আছেন ৷ আর তিনি হলেন তৃণমূলের 'হেভিওয়েট' পার্থ চট্টপাধ্য়ায় ৷ ফি বছর একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাতেন দলের সেই মহাসচিব ৷ কিন্তু গত একুশের রাতের সঙ্গে এবারের মধ্যে বিস্তর ফারাক ৷ গত বারের 21 জুলাইয়ের রাত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আর তার একদা মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিশেষ স্মরণীয়। কারণ এই একুশের মঞ্চে দিনভর সঞ্চালনার দায়িত্ব সামলানোর পর প্রায় গোটা রাত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এরপর তাঁর জায়গা হয়েছে সংশোধনাগারে। আর ঠিক তার এক বছরের মাথায় সেই একুশের দিনে কী করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ?
এক বছরে আদিগঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল ৷ তৃণমূলে পার্থ-পর্ব এখন প্রায় অতীত ৷ দল তাঁর সঙ্গে সংশ্রব ত্যাগ করেছে ৷ আর তিনি সরতেই নতুন কোনও মহাসচিবও আর আসেননি দলে ৷ কিন্তু পার্থ সরে যাওয়ার পর মাঝে কী হয়েছে বা এর ফল কতটা সুদূরপ্রসারী তা নিয়ে আলোচনা বা পর্যালোচনা চালাতেই পারেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ৷ কিন্তু এক বছরের মাথায় একুশের শহিদ দিবস উদযাপনের আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে উপেক্ষা করা কষ্টকর বলেই মনে করছে দলের একাংশ।