কলকাতা, 21 মার্চ : দীর্ঘ 41 বছর পর দমদমের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন নেপালের বাসিন্দা দীপক জোশি। গতকাল তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ তাঁর ভাই কলকাতা এসে দীপককে নিয়ে যান ৷
কে এই দীপক জোশি ?
নেপালের ইলাম জেলার একাতপা গ্রামের তরুণ দীপক জোশি তিমাসনা । 1979 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন কিন্তু আর ফেরেননি।আদালত সূত্র থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে 1981 সালে দার্জিলিং থেকে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয় দীপক জোশীকে। নেপাল থেকে এসে দার্জিলিংয়ের কোন এক চা বাগানে কাজ করতেন তিনি। চাকরি দেওয়ার নামে তাকে খুন করতে বলে কোন একজন। সেই ব্য়ক্তির কথায় তিনি খুন করেন। পরে ধরাও পড়েন। তারপর থেকে জেলবন্দি।
আরও পড়ুন - বিজেপির ইস্তাহারে বাজি নারীকল্যাণ ?
জেলে থাকতে থাকতে কখনও বহরমপুর সংশোধনাগার, কখনও আলিপুর সংশোধনাগার তো কখনও মানসিক হাসপাতালে কেটেছে দীপক জোশীর। বিষয়টি জানতে পেরে কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে৷ মামলায় যুক্ত করা হয় লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে৷ দীপকের পক্ষে এই মামলায় সওয়াল করছেন আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ৷
অবশেষে একটি হ্যাম রেডিও সংগঠন অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে বলে জানা যাচ্ছে৷ দীপক যোশীর বলে দেওয়া জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে তার মা-ও এক ভাই বেঁচে রয়েছেন তাঁরাও দীপককে জীবীত দেখতে চেয়ে আগ্রহে রয়েছে ৷
এরপর কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে মুক্তি দেয়৷ গতকাল দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পৌঁছন তাঁর দাদা ৷ সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যান ৷