পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

মামাবাড়িতে ডাকাতি করে সবাইকে খুনের ছক কষেছিল ঐন্দ্রিলা

মামাবাড়িতে ডাকাতির ছক কষার পাশাপাশি সবাইকে প্রাণে মারার চক্রান্তও করেছিল ঐন্দ্রিলা ও তাঁর দুই সঙ্গী ।

ধৃত তিন

By

Published : Nov 7, 2019, 8:32 PM IST

কলকাতা, 7 নভেম্বর : শুধু ডাকাতি নয়, হরিদেবপুরে মামারবাড়ির সকলকে খুনের ছক কষেছিল ঐন্দ্রিলা । পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেরায় সে কথা স্বীকার করেছে ঐন্দ্রিলা ।

ঐন্দ্রিলা কানাডায় পাকাপাকিভাবে চলে যেতে চেয়েছিল । তার বাড়ি চম্পাহাটির সাহেবপুর ইস্টে । কিন্তু কানাডায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন 19 লাখ টাকা । তখনই মাথায় আসে পেশায় চিকিৎসক মামা অরূপ দাসের কথা । কয়েক দিন আগে হরিদেবপুরের ডায়মন্ড পার্কের আবাসনে মামার বাড়িতে যায় ঐন্দ্রিলা । মামাকে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে 19 লাখ টাকা চায় । কিন্তু অরূপবাবু জানিয়ে দেন, এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয় ।

এরপর মামাবাড়িতে ডাকাতির ছক কষে বছর চৌত্রিশের ঐন্দ্রিলা । নিজের পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে সোনারপুরের কোদালিয়ার কার্তিক চন্দ্র বোস রোডের বাসিন্দা রূপম সমাদ্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করে । পেশায় বারুইপুর কোর্টের মুহুরি রূপমের বয়স 39 । এরপরে দলে নেওয়া হয় বছর কুড়ির পবিত্র দেবনাথ ওরফে ভোলাকে । সে দক্ষিণ 24 পরগনার রামনগরের শংকর পারুলিয়ার বাসিন্দা । ডাকাতির পাশাপাশি মামারবাড়িতে সবাইকেই প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত করে তারা ।

পরিকল্পনা মতো গতকাল দুপুরে মামাবাড়িতে রূপম ও ভোলাকে নিয়ে যায় ঐন্দ্রিলা । সেই সময় বাড়িতে ছিলেন পরিচারিকা কল্পনা ও মামাতো বোন শাল্মলী । ঘটনার সময় শাল্মলী বাথরুমে ছিলেন, তাই দরজা খুলে দেন কল্পনা । ঐন্দ্রিলাকে আগে থেকে চেনায় রূপম ও ভোলাকে দেখে সন্দেহ করেননি কল্পনা । ঘরে ঢুকেই জল খেতে চায় ঐন্দ্রিলা । জল আনতে কল্পনা রান্নাঘরে ঢুকতেই পেছন থেকে তাঁর উপর হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালানো হয় । সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন কল্পনা । চেঁচামেচি শুনে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে শাল্মলী । তখন তাঁকে বঁটির কোপ দেওয়া হয় । ওই অবস্থাতেই শাল্মলীর কাছ থেকে বাড়ির সিন্দুক খোলার নম্বর চায় ঐন্দ্রিলা ও তার সঙ্গী । নম্বর না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় । তখন ঐন্দ্রিলাকে নম্বর বলে দেন শাল্মলী ।

জেরায় ঐন্দ্রিলা জানায়, তার ধারণা ছিল মামাবাড়িতে প্রায় 80 লাখ টাকা থাকবে । নিজেদের পরিকল্পনা সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়িত করে ওই টাকা তিনজনের মধ্যে ভাগ করা হবে । কিন্তু লকার থেকে তারা মাত্র 1.5 লাখ টাকা নগদ ও প্রায় 3 লাখ টাকার সোনার গয়না পায় । সেগুলি নিয়েই তারা চম্পট দেয় ।

তদন্তে নেমে আজ ভোর রাতে গ্রেপ্তার করে ঐন্দ্রিলা, রূপম ও পবিত্রকে । তাদের আজ আলিপুর আদালতে তোলা হয় । বিচারক ধৃতদের 12 দিনের পুলিশ হেপাজতে পাঠিয়েছে ।

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details