কলকাতা, 7 এপ্রিল : কোরোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর জেরে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে কোয়ারানটাইনে পাঠানো চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা 65 থেকে বেড়ে হল 79 । ধাপে ধাপে প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষা করা হবে । অন্যদিকে জীবাণুমুক্ত করা হলেও 79 জন কোয়ারানটাইনে থাকায় কীভাবে হাসপাতালের CCU পরিষেবা পুনরায় চালু করা যাবে তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন কর্তৃপক্ষ । যদিও লকডাউনে বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কম থাকায় 79 জন কোয়ারানটাইনে থাকার পরও হাসপাতালের পরিষেবা সেভাবে ব্যাহত হচ্ছে না বলেই খবর ।
কলকাতার বাসিন্দা বছর 34-এর এক যুবকের চিকিৎসা চলছিল NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । সূত্রের খবর, ওই যুবক হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন । তাই তিনি যে কোরোনায় আক্রান্ত তা প্রথমে বোঝা যায়নি । ফলে ওই যুবককে 30 মার্চ NRS-এর মেডিসিন বিভাগের মেল ওয়ার্ডে ভরতি করানো হয় । শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরের দিন অর্থাৎ 31 মার্চ তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (CCU)-এ স্থানান্তর করা হয় । সূত্রের খবর, এই হাসপাতালে ভরতি করানোর চার দিনের মাথায় এই যুবকের কিছু উপসর্গ দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় । তারপর 3 এপ্রিল (শুক্রবার) এই যুবকের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় । পরের দিন(4 এপ্রিল) শনিবার CCU-তে মৃত্যু হয় ওই যুবকের । ওইদিনই মৃত্যুর পরে ওই যুবকের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে । রিপোর্টে ওই যুবকের কোরোনা পজ়িটিভ আসে ।
এই রোগীর ক্ষেত্রে প্রথমে বোঝা না যাওয়ায় তাঁকে মেডিসিন বিভাগের মেল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল একদিন । পরের পাঁচদিন CCU-তে ছিলেন ওই রোগী । আর এর ফলে অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসেন তিনি । তাই রবিবার(5এপ্রিল) হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে 65 জনকে কোয়ারানটাইনে পাঠানো হয় । এই 65 জনের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । গতকাল ফের কয়েকজনকে কোয়ারানটাইনে পাঠানো হয়েছে । এখন সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে 79 । তাঁদের প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষা করা হবে ।