কলকাতা 26 জুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে সন্তুষ্ট নন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ৷ গত মঙ্গলবারের নির্দেশের পর রবিবার 7 জন সিআইএসএফ জওয়ান তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন ৷ কিন্তু তারপরেই আজ অর্থাৎ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বাহিনীর সংখ্যা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি ৷ আবেদনে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, মাত্র 7 জন কেন্দ্রীয় বাহিনী ভাঙড়ের বিধায়কের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ঠ নয় ৷ বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করেছেন তিনি ৷ এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে নিয়মিত নওশাদ সিদ্দিকীর নিরাপত্তার উপর নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ৷
বর্তমানে নওশাদ সিদ্দিকীর নিরাপত্তায় 24 ঘণ্টার জন্য সিআইএসএফ-এর একজন এসআই, 2 জন পিএসও এবং 4 সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য রয়েছে ৷ কিন্তু এই নিরাপত্তা নাকি তাঁর জন্য যথেষ্ট নয় ৷ এমনকী তিনি কোন ক্যাটাগরি বা স্তরের নিরাপত্তা পাচ্ছেন তাও জানেন না বলে দাবি নওশাদের ৷ আর ভাঙড়ে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, সেখানে তাঁর প্রাণ সংশয় রয়েছে ৷ ফলে এত কম সংখ্যক বাহিনী নিরাপত্তায় যথেষ্ট নয় বলে জানাচ্ছেন ভাঙড়ের বিধায়ক ৷ আর এই সব নিয়ে আজ ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নওশাদ ৷
এই ইস্যুতে এদিন আদালতে রাজ্যের অন্যান্য বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন নওশাদের আইনজীবী ৷ আদালতের সওয়ালে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পান ৷ এমনকি বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষও বেশি নিরাপত্তা পান ৷ নওশাদ একটি দলের রাজ্য নেতা ৷ একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের পরিস্থিতি এই মুহুর্তে খুবই উদ্বেগজনক ৷ তাই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হোক ৷’’
আরও পড়ুন:'প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে', নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ
যদিও কেন্দ্রের তরফে সোমবার আদালতে বলা হয়, ‘‘কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশে ইতিমধ্যে রাজ্যের সব জেলাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ৷ ফলে কেন্দ্রের হাতে এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত বাহিনী নেই ৷ তারপরেও হাইকোর্ট নওশাদ সিদ্দিকীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে ৷’’ নওশাদের পুনরায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তবে এদিন কেন্দ্রকে নিয়মিত নওশাদের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ৷ কোনও সমস্যা হলে, যে কোনও পক্ষ আদালতে বিষয়টি জানাতে পারবে ৷ 3 সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি হবে ৷