কলকাতা, 15 জুন: মনোনয়নের শেষ দিনেও রক্ত ঝড়ল রাজ্যে । উত্তর থেকে দক্ষিণ, গুলিতে মৃত্যু হল মোট চারজনের । আর এই সবকিছুর মাঝেই এবার তাঁর নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। যার জেরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নিরাপত্তাও চাইলেন ভাঙড়ের বিধায়ক । একইসঙ্গে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন নওশাদ সিদ্দিকী ।
বৃহস্পতিবার ছিল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমার শেষ দিন । আর এদিও শান্তির হাত থেকে রেহাই পেল না রাজ্যবাসী। প্রায় প্রতি জেলাতেই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়াল শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই । আর এর ফলেই প্রাণ গেল চারজনের । এর মধ্যে ভাঙড়েই গুলিতে মৃত্যু হয়েছে দু'জনের । অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় প্রাণ গিয়েছে আরও দু'জনের । প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে ভাঙড়ে গুলিতে মৃত্যু হয়েছে দুই আইএসএফ কর্মীর । আর এই ঘটনার পরই খোদ নিজের প্রাণপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন নওশাদ সিদ্দিকী ।
এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে কমিশনার রাজীবা সিনহার উদ্দেশে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী । তিনি বলেন, "এই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আদালত একাধিক রায় দিয়েছে । যা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট ছিল । কিন্তু দুঃখের বিষয় হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে যা যা নির্দেশ দিয়েছিল, অপদার্থ নির্বাচন কমিশনার একটা নির্দেশও পালন করেননি ।" এরপরই তিনি বলেন, "আমি রাজ্যের কাছে একাধিকবার নিরাপত্তা চেয়েছি । তারা নিরাপত্তা দেয়নি । আমার প্রাণনাশের আশঙ্কা করছি, আর তাই বাধ্য হয়ে আমি কেন্দ্রের কাছে নিরাপত্তা চাইছি ।" নিরেপত্তা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি দেবেন বলেও জানান নওশাদ সিদ্দিকী ।
আরও পড়ুন:মনোনয়নের শেষদিনেও রণক্ষেত্র ভাঙড়, গুলিতে মৃত এক আইএসএফ কর্মী
ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু নিয়েও এদিন ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নওশাদ । তিনি সাফ জানান, বুধবারই অশান্তির তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্যের অভিভাবিকা মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে গিয়েছিলেন । কিন্তু কোনও সদর্থক ভূমিকা মুখ্যমন্ত্রী নেননি বলেও অভিযোগ করেন নওশাদ । তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে । আমাদের এক কর্মীর মাথায় গুলি লেগেছে । আরও অনেকে গুরুতর আহত । জানি না তাঁদের কী হবে ।"