কলকাতা , 16 এপ্রিল : কোরোনাJ সংক্রমণ এবং লকডাউন বদলে দিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের রোজনামচাও । লকডাউনের জেরে নিজেদের নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না তাঁরা । যেমন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি শনি এবং রবিবার তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র বারুইপুরে যেতেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে । শুনতেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা । লকডাউনের পর থেকে সবকিছুই বদলে গেছে ।
কোরোনার আতঙ্কে জনসংযোগ করতে পারছেন না রাজ্যের বিধায়ক ও মন্ত্রীরা । রাজ্যের সিংহভাগ মন্ত্রী এবং বিধায়ক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে বসে কেবলমাত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে চলেছেন । সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কেন্দ্রের বিধায়ক তাঁর এলাকার কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মীদের ফোনের তালিকা নিয়ে ঘরে বসেই নজরদারি চালাচ্ছেন । ছুটির দিনেও সরকারি নানা কাজের সুযোগ-সুবিধা নিতে বহু মানুষ আসতেন বারুইপুরের পদ্মপুকুরে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় কার্যালয়ে । বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন কাছে পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারা, তেমনই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই মানুষগুলির কথা ভাবছেন অনবরত । অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন থেকে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র বারুইপুর পশ্চিম প্রায় 50 কিলোমিটার দূরে ।
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী যাদবপুরের বিধায়ক । তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় চম্পাহাটিতেই রয়েছেন । আপাতত বাড়িতে বসেই ফোনে এলাকার কাজ সারছেন তিনি । গৃহবন্দী হওয়ার মধ্যেই সুজন চক্রবর্তী বামপন্থী ছাত্র যুবদের নিয়ে রক্তদান এবং কোরোনাভাইরাসের সুরক্ষা সরঞ্জাম বিলি ছাড়াও রাজ্য সরকারের সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন ।
সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালি গুহ কলেজ স্কোয়ারের বাড়ি থেকেই ডিজিটাল মাধ্যমে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন । অত্যাধিক সুগার থাকায় সতর্ক হয়ে সোনালি গুহ বাড়িতে সকলের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ।