কলকাতা, 8 এপ্রিল: আর খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। খুব শীঘ্রই গঙ্গার নীচ দিয়ে চলবে মেট্রো রেল। যা দেশের মধ্যে প্রথম ৷ সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শেষের মুখে। এবার আসল পরীক্ষা। অর্থাৎ সুড়ঙ্গে মেট্রোর রেক প্রবেশ করানোর পালা। আর সেটাই করা হবে রবিবার। রবিবার মেট্রোর যেই অংশের সুড়ঙ্গ গঙ্গার নীচ দিয়ে গিয়েছে, সেখানে প্রবেশ করানো হবে ছয় বগির মেট্রো রেক। তবে এখনই ট্রায়াল রান নয়। সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে চলতি মাসেই, দেশের প্রথম নদীর তলায় মেট্রো সুড়ঙ্গ দিয়ে দৌড়বে মেট্রো। এমনটাই জানা গিয়েছে, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন সূত্রে।
প্রথম থেকেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ ঠিকঠাক এগোলেও বউবাজারের কাছে বারবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে মেট্রো আধিকারিকদের। তবে প্রতিশ্রুত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত পরিষেবা চালু করতে চায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। সেই লক্ষ্য মাত্রা রেখেই আপাতত এগিয়েছে কাজ। রবিবার গঙ্গার তোলার অংশের মেট্রো সুড়ঙ্গে প্রথমবার প্রবেশ করানো হবে রেক। তবে এটি ট্রায়াল রান নয় বলে জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ ৷
এটি ট্রায়াল রান নয় বলে জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ যদিও এর আগে ট্রলি টেস্ট চলেছে। আপাতত এই দুটি রেক প্রবেশ করিয়ে খতিয়ে দেখা হবে নানা দিক। মেট্রো ট্র্যাক ঠিক মতো কাজ করছে কি না, সুড়ঙ্গের ভিতরে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থায় কোনও সমস্যা তৈরি হচ্ছে কি না ৷ এমনকি, সুড়ঙ্গে মেট্রো চললে কী কী সমস্যা হতে পারে বা হচ্ছে তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এবারের রেল বাজেট পেশ করার সময়ই কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন যে, চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের গোড়ার দিকেই চালু হয়ে যাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পুরো যাত্রা পথ। অর্থাৎ সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে একেবারে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত চলবে মেট্রো।
আরও পড়ুন: প্রতীক্ষাবসান! অবশেষে যাত্রী নিয়ে দৌড়ল কলকাতা মেট্রোর চিনা ডালিয়ান রেক
কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত রেক প্রবেশ করিয়ে সবরকম দিক খতিয়ে দেখা হবে। প্রথমে একটি রেক প্রবেশ করানো হলেও আরও একটি রেক নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। একবার এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে গেলে রেল পথে জুড়ে যাবে দুই পড়শি শহর। কলকাতা ও হাওড়া। জলের উপর দিয়ে সেতু বন্ধন আগেই হয়েছিল। এবার জলের নিচ দিয়ে রেল পথে দুই পড়শি শহর। 13 মিটার গঙ্গার গভীরতা। আর তারও নীচ দিয়ে সর্পিলভাবে চলে গিয়েছে এই সুড়ঙ্গ পথ। গঙ্গার নিচ দিয়ে 500 মিটার গিয়েছে টানেলটি।