মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য কলকাতা, 18 অগস্ট:জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র থেকে শুরু করে কলকাতা পৌরনিগমের বিভিন্ন পরিষেবা এখন অনলাইন করে দেওয়া হয়েছে । তবে অনলাইন করেও লাগাম পড়ানো যায়নি দালালরাজে । এক একটি জন্ম শংসাপত্র পেতে 6 হাজার টাকা দিতে হচ্ছে গরিব মানুষকে । দালালরাজের বেপরোয়া ছবি দেখলেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম । হাতেনাতে ধরলেন অভিযুক্তকে । পশ্চিম বন্দর থানায় রুজু হয়েছে অভিযোগ ।
প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বসেন 15 নম্বর বরো দফতরে । সম্প্রতি সেখানে এক হিন্দিভাষী মহিলা এসে মেয়রকে কাতর স্বরে অনুরোধ করেন, "একটু কমিয়ে দিতে বলুন না ।" সন্দেহ হওয়ায় মেয়র জিজ্ঞেস করেন, "কিসের কথা বলছেন আপনি ?" মহিলা উত্তরে জানান, তাঁর তিনটি বাচ্চা । জন্মের শংসাপত্র দেওয়ার জন্য বাচ্চা পিছু 6 হাজার টাকা করে চাইছেন একজন । সেই টাকায় একটু কম করতে বলছেন তিনি ৷ কথা শোনার পরই মেয়র তাঁকে জানান, এখন জন্মের শংসাপত্রের জন্য এক টাকাও লাগে না ।
সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পশ্চিম বন্দর থানায় খবর দেন মেয়র । এদিকে মহিলার সঙ্গে মেয়র নিজের নিরাপত্তারক্ষীর হাতে টাকা দিয়ে পাঠিয়ে ফাঁদ পাতেন । আর সেই ফাঁদেই ধরা পড়ে অভিযুক্ত দালাল । টাকা নিতে গেলেই আটক করা হয় । ফিরহাদ জানিয়েছেন, পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই দালালকে ।
এরপর তিনি এক সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় জানান, গরিব মানুষ অনলাইনের বিষয়টি জানেন না । অসাধু চক্র সেই সুযোগে ঠকাচ্ছে । আগে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে হতো কলকাতা পৌরনিগমে এসে । অধিকাংশ মানুষকে হন্যে হয়ে ঘুরতে হতো । আর সেই সুযোগের অপেক্ষায় থাকত দালালরা । তবে সেই ঘুঘুর বাসা ভাঙতে গোটা পদ্ধতি অনলাইন করে দেওয়া হয় । কিন্তু অনলাইন করে যে উদ্দেশ্য সফল হয়নি তাই এদিনের ঘটনায় টের পেয়েছেন খোদ মেয়র । কেন্দ্রীয় ভবনে দালালদের আনাগোনা কমলেও বরো দফতরে যে তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে এই ঘটনা তার প্রমাণ । আর তাই দেখেই বিস্মিত খোদ কলকাতার মহানাগরিক ।
আরও পড়ুন : বেআইনি নির্মাণ শুরুর আগেই বন্ধ করুন, বৈঠকে নির্দেশ মেয়র ফিরহাদের