নন্দীগ্রাম, 18 জানুয়ারি : নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী তথা কাঁথির অধিকারী পরিবারকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁর সঙ্গেই আছেন বলে বারবার দাবি করছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ কিন্তু সেখানে মানুষ সত্যিই তাঁর পাশে যে আছেন, তা এবার ভোটের ময়দানেও তা প্রমাণ করতে হবে শুভেন্দুকে৷ কারণ, গোটা ব্যাপারটা তাঁর কাছে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হল ৷
2011 সালে ক্ষমতায় আসার পথ তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য অনেকটাই সুগম করে দিয়েছিল নন্দীগ্রাম আন্দোলন ৷ যে আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ 2011 সালের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে বিধায়ক হন ফিরোজা বিবি ৷ যিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের এক শহিদের মা ৷ কিন্তু 2016 সালে নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এরপর বাংলার রাজনীতিতে অনেক পট পরিবর্তন হয়েছে ৷ মমতার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে শুভেন্দুর ৷ তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন ৷ বিজেপিতে আসার আগে অবশ্য নন্দীগ্রামে একাধিক কর্মসূচিতে বারবার নাম না করে নিজের দলকে বিঁধেছেন শুভেন্দু ৷ ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে ভুলে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে ৷
এমনকী, তিনি বিজেপিতে যোগদানের পর 7 জানুয়ারি তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার কথা ছিল নন্দীগ্রামে ৷ সেই সভা বাতিল হয় ৷ তা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন শুভেন্দু ৷ ফলে সোমবার জবাব দেওয়ার সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ৷ তাই তিনি নাম না করে বারবার শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছেন ৷ বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে অনেকে বড় বড় কথা বলছে । নন্দীগ্রামের সঙ্গে আমার আত্মার টান । নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জায়গা নয় । স্যালুট করার জায়গা ।’’ নাম না করে অধিকারী পরিবারকে আক্রমণ করেছেন মমতা৷ তাঁর দাবি, টাকা বাঁচাতে অনেকে বিজেপিতে যোগদান করছেন৷ বলেছেন, ‘‘তোমরা প্রধানমন্ত্রী হও৷ তোমরা রাষ্ট্রপতি হও৷ কিন্তু দয়া করে বাংলাকে বিক্রি করতে যেও না৷’’